আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মাইকিং

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের লোকজন মাইক ব্যবহারের আইন মানছেন না। আচরণবিধি লঙ্ঘন করে তাঁরা এক জায়গায় একাধিক মাইক ব্যবহার করছেন।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে জানা গেছে, চেয়ারম্যান পদে তিনজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা-২০১৩-এর ২১-এর-১ ধারায় বলা হয়েছে, প্রচারের জন্য একটি ও পথসভার জন্য একটি, মোট দুটি মাইক ব্যবহার করা যাবে। একই সঙ্গে দুটি মাইক ব্যবহার করা যাবে না। এর-২ ধারায় বলা হয়েছে, মাইক্রোফোন বা শব্দের মাত্রা বর্ধনকারী অন্যবিধ যন্ত্রের ব্যবহার বেলা দুইটার আগে এবং রাত আটটার পরে করা যাবে না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রোববার রাত প্রায় সোয়া নয়টায় ধানগড়া নতুন চৌরাস্তায় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় দুটি মাইক লাগিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন জামায়াত সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এ বি এম আব্দুস সাত্তারের লোকজন। একই দিন দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নিষ্কৃতি দাশের পদ্ম ফুল প্রতীকের প্রচারণা চালানোর দুটি মাইক আটক করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।
মাগরিবের নামাজের পর ধানগড়া-লক্ষ্মীকোলা সড়কে বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আয়নুল হক ও জামায়াত সমর্থিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হালিমা খাতুনের লোকজন দুই মাইক দিয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে সিমলা এলাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শরিফ-উল-আলম খন্দকার ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবদুল হাদী আল মাজীর লোকজনও দুটি মাইক দিয়ে প্রচারণা চালান।
ধানগড়া মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী রায়হান আজাদ বলে, ‘জীবনের বড় একটি পরীক্ষা দিচ্ছি। অথচ মাইকের যন্ত্রণায় পড়ালেখা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।’
চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবদুল হাদী আল মাজী, আয়নুল হক ও আব্দুস সাত্তার এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জাহিদুল ইসলাম ও শরীফ-উল-আলম খন্দকার জানান, মাইক ব্যবহারের আইন জেনে সচেতনতার সঙ্গে প্রচারণার কাজ চালানো হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ফিরোজ শাহ্ বলেন, এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।