মাঝপথে গাড়ি মেরামতে 'যান্ত্রিক'

সড়কপথে চলতে থাকা ব্যক্তিগত গাড়িটি হঠাৎ বিগড়ে যাওয়া মানেই বিড়ম্বনার একশেষ। পরিচিত জায়গা না হলে আশপাশের ওয়ার্কশপ খুঁজে পাওয়া কঠিন। তখন গাড়ির ধোঁয়া নির্গমন পাইপের মতো চাঁদি দিয়েও ধোঁয়া বের হওয়ার জোগাড়। কারণ জুতসই জায়গায় যেতে গাড়ি ঠেলা ছাড়া উপায় নেই।

এমন বিদঘুটে পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে এসেছে ‘যান্ত্রিক’। এই অ্যাপটি ‘রোড সাইড হেল্প’-এর মাধ্যমে হঠাৎ বিকল হওয়া গাড়ি মেরামত করে দেবে।

গত বছরের নভেম্বরে যান্ত্রিকের যাত্রা শুরু। প্রাথমিকভাবে ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসের জন্য ‘রোড সাইড হেল্প’ নেওয়া যাবে। এ সেবার জন্য যান্ত্রিকের সদস্য হতে হবে। অ্যাপেই সদস্য হওয়ার প্রক্রিয়া রয়েছে। সদস্য হতে গাড়ির ফি বছরে ২৯৯৫ টাকা এবং মোটরসাইকেলের জন্য ১৪৯৫ টাকা। এই এক বছরে তিনবার ইঞ্জিন সার্ভিসিং ফ্রি দেওয়া হয়। এ ছাড়া যেকোনো সেবায় ১০ শতাংশ ছাড় থাকে। তবে ‘রোড সাইড হেল্প’-এর জন্য আলাদা ফি দিতে হয়। কাজের ধরন অনুযায়ী তা নির্ধারণ করা হয়। ৪৯৫ টাকা দিয়ে ফি শুরু।

রাস্তার মাঝে গাড়ি বা মোটরসাইকেল বিকল হয়ে গেলে অ্যাপের মাধ্যমে অনুরোধ পাঠালে সেবাগ্রহীতার লোকেশন দেখে নিকটস্থ ওয়ার্কশপের টেকনিশিয়ান ১৫ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যাবেন। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট শহরসহ সারা দেশের প্রধান হাইওয়েতে রোড সাইড হেল্প দেওয়া হয়।

যান্ত্রিকের উদ্যোক্তা আল-ফারুক বলেন, ‘আমার নিজের গাড়ির ইঞ্জিন একদিন রাস্তায় বিগড়ে যায়। পরিচিত টেকনিশিয়ানকে ফোন করলাম, কিন্তু সে তাৎক্ষণিক আসতে পারবে না। তখন মাথায় এল, এ ধরনের সমস্যা অনেকেরই। সেই থেকে যান্ত্রিকের চিন্তা।’ তিনি বলেন, সারা দেশে প্রায় ১ হাজার ওয়ার্কশপের সঙ্গে তাঁরা চুক্তি করেছেন। এখন পর্যন্ত সদস্য হয়েছেন ৫০০ জন।

বাসায় থাকা গাড়ির সার্ভিসিংও করানো যাবে যান্ত্রিকের মাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে সদস্য হওয়া লাগবে না। আল-ফারুক বলেন, গাড়ি ও মোটরসাইকেল ছাড়া অন্যান্য বাহনের জন্যও রোড সাইড সেবা চালু হবে। এ ছাড়া টিভি, ফ্রিজ, এসি, অর্থাৎ, যন্ত্রবিষয়ক যেকোনো প্রয়োজনে সেবা দেবে যান্ত্রিক। অ্যাপ ছাড়াও তাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন সেবা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।