৮৪ দিনে ৮৪ লাখ টাকা!

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে এবার পাওয়া গেছে ৮৪ লাখ টাকা। পাগলা মসজিদ প্রাঙ্গণ, কিশোরগঞ্জ, ৩১ মার্চ। ছবি: তাফসিলুল আজিজ
কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে এবার পাওয়া গেছে ৮৪ লাখ টাকা। পাগলা মসজিদ প্রাঙ্গণ, কিশোরগঞ্জ, ৩১ মার্চ। ছবি: তাফসিলুল আজিজ

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে এবার ৮৪ লাখ ৯২ হাজার ৪ টাকা পাওয়া গেছে। হিসাব অনুযায়ী দানবাক্সে দৈনিক কমপক্ষে ১ লাখ টাকা করে জমা হয়েছে। শনিবার বিকেলে গণনা শেষে দানের এই বিপুল পরিমাণ টাকার হিসাব পাওয়া যায়।

শনিবার সকালে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়। প্রথমে দানবাক্স থেকে টাকা বের করে বস্তায় ভরা হয়। টাকা ছাড়াও দান হিসেবে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে। এরপর শুরু হয় টাকা গণনা। টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর হোসাইন, জ্যেষ্ঠ নির্বাহী হাকিম আবু তাহের মো. সাঈদ। এ সময় সিন্দুক খোলা কমিটির সদস্যরা ছাড়াও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে এবার পাওয়া গেছে ৮৪ লাখ টাকা। টাকা ছাড়াও দান হিসেবে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে। পাগলা মসজিদ প্রাঙ্গণ, কিশোরগঞ্জ, ৩১ মার্চ। ছবি: তাফসিলুল আজিজ
কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে এবার পাওয়া গেছে ৮৪ লাখ টাকা। টাকা ছাড়াও দান হিসেবে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে। পাগলা মসজিদ প্রাঙ্গণ, কিশোরগঞ্জ, ৩১ মার্চ। ছবি: তাফসিলুল আজিজ

কিশোরগঞ্জ শহরের গাইটাল এলাকার নরসুন্দা নদীর তীরে পাগলা মসজিদটি অবস্থিত। গত ৬ জানুয়ারি মসজিদের দানবাক্স খুলে ১ কোটি ২৭ লাখ ৩৬ হাজার টাকা পাওয়া গিয়েছিল।

জেলা প্রশাসক ও মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, এ মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া টাকা ব্যাংকে জমা করে রাখা হয়। যে স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে, তা আগের স্বর্ণালংকারের সঙ্গে যোগ করে রাখা হয়েছে। ওই মসজিদ ও মসজিদসংলগ্ন এতিমখানার খরচ ছাড়াও বিভিন্ন মসজিদের উন্নয়নমূলক কাজ, দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসাসহ বিভিন্ন সেবামূলক খাতে এ আয় থেকে অর্থসাহায্য করা হয়ে থাকে।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুললে প্রতিবারই বিপুল পরিমাণ টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়। প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের বাসিন্দারা ছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ তাঁদের মনের আশা পূরণ ও মানতের জন্য মসজিদের দানবাক্সগুলোতে টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করে থাকেন।