ডাকসুর দাবিতে সব শিক্ষার্থীকে পাশে চান ওয়ালিদ

ওয়ালিদ আশরাফ
ওয়ালিদ আশরাফ
>
  • ২৮ বছর ধরে ডাকসু নির্বাচন আটকে আছে।
  • বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ কামনা।
  • ওয়ালিদ গত রোববার রাতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে অনশন শুরু করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের দাবিতে দ্বিতীয় দফায় অনশনে বসা ওয়ালিদ আশরাফ বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিভিন্ন সময়ের সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ‘বিভ্রান্ত’ করে রেখেছে। ডাকসুর দাবি যে তাঁদের মূল দাবি, সেটা তারা বুঝতে পারছে না। অথচ এই দাবি পূরণ হলে অন্য যেকোনো দাবিই পূরণ হওয়া সম্ভব।

গতকাল মঙ্গলবার ওয়ালিদ আশরাফ প্রথম আলোকে এসব কথা বলেন। ২৮ বছর ধরে ডাকসু নির্বাচন আটকে আছে-এ কথা উল্লেখ করে তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘এ বছর নির্বাচন না দিয়েই জুন মাসে সিনেটের বাজেট অধিবেশন হবে, উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন হবে; সেখানে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি না থাকলে সেই সিনেট কেন অবৈধ হবে না?’

ওয়ালিদ আশরাফ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, ‘আমার সঙ্গে তো রাষ্ট্রপতির কথা হয় না, তাই অনশনের পথ ছাড়া আমার কিছু করার নেই।’ তিনি এই পথে ‘বিভ্রান্ত’ সেই সব শিক্ষার্থীকে পাশে চান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সান্ধ্য কোর্সের ছাত্র ওয়ালিদ গত রোববার রাতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে অনশন শুরু করেন। এবার তাঁর দাবি ১০ এপ্রিলের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। গত বছরের ২৫ নভেম্বর থেকে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে তিনি টানা ১৫ দিন অনশন করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের আশ্বাসে তিনি অনশন ভাঙেন।

জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগামী বছরের মার্চের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন করার পরিকল্পনা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কাজ শুরু করেছে।

প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, এটি বাস্তবায়ন করতে আমাদের সবার সহযোগিতা দরকার। আমাদের অনুরোধ, এমন কোনো প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে না যাওয়া যার মাধ্যমে সেই পরিকল্পনা ও প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়।’