মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বিবেচনার দাবি

সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বিবেচনার দাবি করেছে ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’। জাতীয় প্রেসক্লাব, ১৩ এপ্রিল। ছবি: সাজিদ হোসেন
সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বিবেচনার দাবি করেছে ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’। জাতীয় প্রেসক্লাব, ১৩ এপ্রিল। ছবি: সাজিদ হোসেন

সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের সংগঠন ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’। আজ শুক্রবার এক কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি এ অনুরোধ জানানো হয়।

একই সঙ্গে কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে যাঁরা মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন, তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠনটি।

সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসব দাবিতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করে সংগঠনটি। সমাবেশ থেকে ১৮ ও ১৯ এপ্রিল একই দাবিতে সারা দেশের মহানগর ও জেলায় জেলায় মানববন্ধনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

সমাবেশে সংগঠনটির সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘‌আমরা সরকারি চাকরির কোটায় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০ ভাগ বহাল রাখার পক্ষেই প্রধানমন্ত্রীর বিবেচনা আশা করব। আমরা দাবি জানাই, কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক বক্তব্য ছড়িয়ে দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অপমানিত করার চেষ্টা করেছে, তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার।’

সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক। দেশে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে তিনি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থেই নিয়েছেন। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যে সম্মান জাতির পিতা দিয়েছেন, তা যেন তাঁরই কন্যার হাত দিয়ে ব্যাহত না হয়।

বক্তারা আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বহাল না করা হলে একাত্তরের পরাজিত শক্তিই জয়ী হবে। কারণ পরাজিত শক্তি দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান-অপদস্থ করতে চায়। মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের ঘোষণার ফলে স্বাধীনতাবিরোধীরা আজ উল্লসিত। তাঁরা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে যারা নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছে, তারা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করতে চায়। তারা চায় মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরসূরিরা যেন কোনো সরকারি চাকরিতে সুযোগ না পায়। প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হতে না পারে। তাহলেই আস্তে আস্তে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভূলুণ্ঠিত হবে। একদিন মুক্তিযোদ্ধাদের নাম-নিশানা মুছে যাবে।

সমাবেশে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদারসহ একাধিক বক্তা মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য বিশেষ কমিটি গঠন করে বিশেষ ব্যবস্থায় সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাব করেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সংগঠনের নেতা সাইফুল ইসলাম, হাজি এমদাদুল হক, নূরুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নেতা আনোয়ার হোসেন, আমির হোসেন মোল্লা, মাসুদ পারভেজ প্রমুখ।