পুলিশের অভিযানে গোপন বৈঠকের সময় জেএমবির ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

গোপন বৈঠকের সময় দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তাঁরা।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন নবাবগঞ্জ উপজেলার পূর্ব জয়দেবপুর গ্রামের শাহজাহান (৫০), দরিয়া দক্ষিণ পাড়ার রায়হানুল ইসলাম (৩৫) এবং ঘোড়াঘাট উপজেলার চকবয়রা (বরইপাড়া) গ্রামের দবিরুল ইসলাম (৩৮)।

নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার প্রথম আলোকে বলেন, দিনাজপুর গোয়েন্দা পুলিশ এবং নবাবগঞ্জ থানা-পুলিশের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার ভোরে নবাবগঞ্জ উপজেলার বিনোদনগর বাজারের পাশ থেকে গোপন বৈঠক করার সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এই ঘটনায় পুলিশের উপরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা বাদী হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দিনাজপুর গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) বজলুর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, বিনোদনগর বাজারের পাশে জেএমবির ১৪/১৫ জনের একটি দল গোপন বৈঠকের খবর পায় দিনাজপুর পুলিশ। এই খবরের ভিত্তিতে পুলিশ সুপারের নির্দেশে গোয়েন্দা পুলিশি এবং নবাবগঞ্জ থানা-পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযানে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বাকিরা পালিয়ে যান।

এসআই বজলুর রশীদ বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া শাহজাহান জেএমবির শীর্ষ নেতা আব্দুর রহমানের সঙ্গে কাজ করেছেন। তিনি বর্তমান জেএমবির অন্যতম নেতা জামালপুরের সরিষাবাড়ীর মকসেদুর রহমান মনির শ্বশুর। বিকেলে দিনাজপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আরিফুল ইসলামের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে জেএমবির সারোয়ার-তামিম গ্রুপের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন তাঁরা।