বাঘারপাড়ায় থানা হাজতে রিমান্ডের আসামির মৃত্যু, পুলিশ বলছে আত্মহত্যা

যশোরের বাঘারপাড়া থানা হাজতে হত্যা মামলার এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। মারা যাওয়া ওই আসামির নাম তন্ময় কুণ্ডু (২০)। পুলিশ বলছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন

তন্ময় কুণ্ডু বাঘারপাড়া উপজেলার নারকেলবাড়িয়া গ্রামের তনয় কুণ্ডুর ছেলে। তিনি বাঘারপাড়া উপজেলার পশ্চিমা বলরামপুর আলিম মাদ্রাসার অফিস সহকারী মো. আসাদুজ্জামান হত্যা মামলার দুই নম্বর আসামি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাঘারপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম বলেন, ‘আজ (সোমবার) বিকেল সাড়ে চারটার সময় তন্ময়কে যশোর জেল হাজত থেকে একদিনের রিমান্ডে বাঘারপাড়া থানায় আনা হয়। এরপর তাঁকে থানা হাজতে রাখা হয়। এ সময় ডিউটিরত কনস্টেবলকে বলা হয় তন্ময়কে যেন ইফতারি দেওয়া হয়। ডিউটিরত কনস্টেবল হাজতের ভেতর খাবার দিতে যান। হাজতের ভেতর তন্ময়কে দেখতে না পেয়ে তিনি বাথরুমে উঁকি দেন। সেখানেই তন্ময়কে অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে তিনি অন্যদের খবর দেন। এরপর তাঁকে বাঘারপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।’ 

বাঘারপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইসরাত নাজনীন বলেন, ‘হাসপাতালে আনার আগেই তন্ময়ের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিক অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে তাঁর হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে।’

বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম বলেন, ‘তন্ময় আত্মহত্যা করেছেন। এর বেশি এখন বলতে পারছি না। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করার জন্য যশোর থেকে দুজন ম্যাজিস্ট্রেট রওনা হয়েছেন।’

মামলা সূত্রে জানা যায়, নিখোঁজের তিন দিন পর গত ১১ মে পুলিশ বাঘারপাড়ার উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া এলাকায় চিত্রা নদীর মধ্য থেকে আসাদুজ্জামানের বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার হয়। পরদিন ১২ মে নিহত মো. আসাদুজ্জামানের স্ত্রী লাকি বেগম সাতজনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন। তন্ময় এ মামলার দুই নম্বর আসামি। পুলিশ ওই দিনই তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এ মামলায় তন্ময়ের মা অপর্ণা কুণ্ডুকেও আসামি করা হয়। তিনিও বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছেন। তনয় কুন্ডু সম্প্রতি বিদেশ থেকে দেশে ফেরেন।