গাজীপুরের এসপি হারুনের অফিসে হাসান সরকার

হাসান উদ্দিন সরকার। ফাইল ছবি
হাসান উদ্দিন সরকার। ফাইল ছবি

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার আজ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) হারুন অর রশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে ফোনে এসপির সঙ্গে ফোনে কথা হওয়ার পর তাঁর দাওয়াত পেয়েই সেখানে যান বলে জানিয়েছেন হাসান সরকার।

গত মঙ্গলবার গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়। নির্বাচনে দুই লাখ ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের কাছে পরাজিত হন হাসান সরকার। নির্বাচনের আগে গাজীপুরের এসপিকে প্রত্যাহারের দাবি করেছিল বিএনপি। এই নির্বাচনেও ‘ভোট ডাকাতি’ হয়েছে বলে দলটি অভিযোগ করেছে।

আজ এসপি হারুনের সঙ্গে সাক্ষাতের কারণ প্রসঙ্গে হাসান সরকার বলেন, ‘আজ গাজীপুর কোর্টে হাজিরার তারিখ ছিল। আদালতে হাজিরার পর ফোনে গাজীপুরের এসপির সঙ্গে কথা হয়। এ সময় তিনি আমাকে তাঁর কার্যালয়ে চায়ের দাওয়াত দেন। পরে তাঁর দাওয়াত রক্ষা করতেই দুপুরে তাঁর অফিসে যাই।’

নির্বাচনে পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নে হাসান সরকার বলেন, ‘আপনারা যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন, সেই প্রতিষ্ঠানের ফুল অথোরিটির নির্দেশ ছাড়া যেমন সাংবাদিকেরা চলতে পারবেন না। পুলিশের বেলাও তাই।’

এসপি মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘উনি (হাসান সরকার) কোর্টে এসেছিলেন জামিন নিতে। পরে কোর্ট থেকেই তিনি আমাকে রিং দেন। পরে আমি তাঁকে বললাম, যাওয়ার সময় এক কাপ চা খেয়ে যাবেন। পরে তিনি আমার কার্যালয়ে আসেন এবং চা পান ও সৌজন্য সাক্ষাৎ করে চলে যান। তিনি নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের অভিযোগ করেননি।’
এ সাক্ষাতের সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেল শেখ ও গোলাম সবুর উপস্থিত ছিলেন।

গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপি নেতা মেজর (অব.) মিজান সম্পর্কে জানতে চাইলে এসপি বলেন, ‘মেজর মিজান এবং বিএনপি নেতা ফজলুল হক মিলনের অডিও আমাদের কাছে আছে। তাঁরা চেয়েছিলেন নির্বাচনের দিন একটা অরাজকতা করে গোলযোগ করে একটা সমস্যা করা। তাঁদের আলাপের অডিওটা পাওয়ার পর আমরা অ্যালার্ট ছিলাম, যার কারণে গাজীপুরে নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে কোনো ঝামেলা হয়নি। অডিওর বিষয়টি আমরা আরও গভীরভাবে তদন্ত করছি।’