মা ও মেয়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক-শিক্ষার্থী-শিল্পী

পুরস্কার হাতে মা শামীমা আক্তার (মাঝে) এবং দুই মেয়ে এরিন (ছবির ডানে) ও কুইন। ছবি: প্রথম আলো
পুরস্কার হাতে মা শামীমা আক্তার (মাঝে) এবং দুই মেয়ে এরিন (ছবির ডানে) ও কুইন। ছবি: প্রথম আলো

রাজবাড়ীতে শ্রেষ্ঠ কলেজ শ্রেণিশিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন শামীমা আক্তার। তাঁর মেয়ে কুইন মাধ্যমিক পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী হওয়ার গৌরব অর্জন করে। আরেক মেয়ে এরিন রবীন্দ্রসংগীতে সেরা শিল্পী হয়েছে।

শামীমা আক্তার ডা. আবুল হোসেন কলেজের সহযোগী অধ্যাপক। আর এরিন ও কুইন যমজ বোন। দুজনই রাজবাড়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী কুইন শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী হওয়ার পাশাপাশি নজরুলসংগীত ও দেশাত্মবোধক গানে সেরা শিল্পী নির্বাচিত হয়েছে।

রবীন্দ্রসংগীতে জেলা পর্যায়ে সেরা এরিন। ছবি: প্রথম আলো
রবীন্দ্রসংগীতে জেলা পর্যায়ে সেরা এরিন। ছবি: প্রথম আলো

আজ বুধবার দুপুরে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ও সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় জেলা পর্যায়ে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। বিজয়ীদের ক্রেস্ট, সনদ ও নগদ টাকা দেওয়া হয়।

শামীমা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুরস্কার পেতে সবারই ভালো লাগে। কিন্তু সন্তানের সঙ্গে একত্রে পুরস্কার পাওয়ার অনুভূতি সত্যিই অন্য রকম। এ রকম দিন জীবনে বারবার আসে না। এদিনটি আমাদের পরিবারের জন্য একটি স্মরণীয় দিন।’

তিন ক্যাটাগরিতে সেরা কুইন। ছবি: প্রথম আলো
তিন ক্যাটাগরিতে সেরা কুইন। ছবি: প্রথম আলো

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ছয়টি ক্যাটাগরিতে সৃজনশীল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এগুলো হলো শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী, শ্রেষ্ঠ শ্রেণিশিক্ষক, শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান, শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান, শ্রেষ্ঠ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও শ্রেষ্ঠ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। কলেজ, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিভাগে এসব পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রথমে উপজেলা পর্যায়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিজয়ীরা জেলা পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে।

পুরস্কার প্রদান উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আবদুল জব্বার। সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রেবেকা খান। বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ছাদেকুর রহমান, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান।