চট্টগ্রাম থেকে বিমানের সরাসরি হজ ফ্লাইট শুরু

চট্টগ্রাম থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সরাসরি হজ ফ্লাইট পরিচালনা আজ রোববার থেকে শুরু হয়েছে। আজ বেলা সাড়ে তিনটায় ৪০৫ জন হজযাত্রী নিয়ে প্রথম ফ্লাইটটি চট্টগ্রাম হজরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরবের মদিনার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

এ সময় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ এম মোসাদ্দিক আহমেদসহ বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ এম মোসাদ্দিক আহমেদ সেখানে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, বিমান এ বছর চট্টগ্রাম থেকে নয়টি ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এর মধ্যে চারটি ফ্লাইট চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি মদিনায় এবং পাঁচটি সরাসরি জেদ্দায় যাবে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম-জেদ্দা ১৪টি নিয়মিত (শিডিউল) ফ্লাইটেও হজযাত্রী পরিবহন করা হবে।

সংবাদ ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ, চট্টগ্রাম জেলা ব্যবস্থাপক সজল কান্তি বড়ুয়া, স্টেশন ব্যবস্থাপক গোলাম নাসের আজমী, ব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাছমিন আকতার, আটাবের চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি মো. আবু জাফর ও হাবের চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি মো. শাহ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিমান সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম থেকে যাঁরা হজ করতে যাবেন, তাঁদের জন্য সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এখান থেকে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে বিমান। গত বছর চট্টগ্রাম থেকে হজ ফ্লাইটের সংখ্যা ছিল ১৫টি। চট্টগ্রাম থেকে জেদ্দা গন্তব্যে নিয়মিত ফ্লাইট বৃদ্ধির কারণে এবার ডেডিকেটেড হজ¦ফ্লাইটের সংখ্যা কমিয়ে নয়টি করা হয়েছে। বিমান চট্টগ্রাম থেকে জেদ্দায় সপ্তাহে ফ্লাইট দুটি থেকে বৃদ্ধি করে তিনটি করা হয়েছে।

এ পর্যন্ত গেছেন ৪০ হাজার হজযাত্রী

বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ জানান, আজ রোববার সকাল আটটা পর্যন্ত বিমানের আটটি নিয়মিত ফ্লাইট ও ৪৩টি হজ ফ্লাইটসহ সর্বমোট ৫১টি ফ্লাইটে ২০ হাজার ৩৯১ জন এবং সৌদিয়া এয়ারলাইনস ১৯ হাজার ৬৮১ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী পরিবহন করেছেন। অর্থাৎ এ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে মোট ৪০ হাজার ৭২ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।
শাকিল মেরাজ জানান, আগামী ২৯ জুলাই থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত বিমানের বিভিন্ন ফ্লাইটের প্রায় ৮০০০ টিকিট এখনো অবিক্রীত রয়েছে। যেহেতু সৌদি কর্তৃপক্ষ সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে এ বছর তারা বিমানকে অতিরিক্ত কোনো স্লট দেবে না, সে কারণে যাত্রীর অভাবে কোনো ফ্লাইটের আসন খালি গেলে উক্ত ফ্লাইটের হজযাত্রীদের হজযাত্রা বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিমানের পক্ষ থেকে সব হজ এজেন্সিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে হজযাত্রীদের অনুকূলে টিকিট সংগ্রহের অনুরোধ করা হয়, যাতে ফ্লাইট বাতিলের মতো কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি না হয়। এ বছর হজফ্লাইট শুরুর প্রায় দুই মাস আগে থেকে বিমান হজের টিকিট বিক্রির কার্যক্রম শুরু করেছে। বাংলাদেশ সরকার এ বছর বাড়ি ভাড়া ও ভিসা সংগ্রহের আগেই হজযাত্রীদের টিকিট সংগ্রহ করার নির্দেশ দিয়েছিল
বাংলাদেশ থেকে এ বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন পবিত্র হজ পালনে সৌদি আরব যাওয়ার কথা রয়েছে। এদের অর্ধেক অর্থাৎ অর্থাৎ ৬৩ হাজার ৫৯৯ জনকে বিমান পরিবহন করবে। বাকিরা যাবেন সৌদিয়া এয়ারলাইনসে।