উদীচী বোমা হামলা ও সাংবাদিক হত্যা মামলার আসামিসহ যশোরে দুই খুন

যশোরে চাঞ্চল্যকর উদীচী বোমা হামলা ও সাংবাদিক আর এম সাইফুল আলম মুকুল হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি সাইফুল ইসলামের (৩৮) জবাই করা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার সকালে যশোর সদর উপজেলার মুড়ুলি রেলগেট এলাকার একটি পুকুরপাড় থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। সাইফুল যশোর শহরের শংকরপুর এলাকার জেহের মোড়লের ছেলে।
এদিকে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার চাপাকোনা গ্রামে আছাদুল বিশ্বাস (৩৬) নামের এক দরজিশ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গত শুক্রবার মধ্য রাতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মুড়ুলি রেলগেট এলাকায় একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক শেখ জানান, উদ্ধার হওয়া লাশ সাইফুল ইসলামের। তিনি উদীচী বোমা হামলা ও সাংবাদিক আর এম সাইফুল আলম হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি ছিলেন।
১৯৯৯ সালের ৬ মার্চ যশোরের টাউন হল মাঠে উদীচীর কেন্দ্রীয় সম্মেলনে বোমা হামলায় নিহত হন ১১ জন। আর ১৯৯৮ সালের ৩০ অক্টোবর যশোর শহর থেকে বাড়ি ফেরার পথে গুলি করে হত্যা করা হয় যশোর থেকে প্রকাশিত রানার পত্রিকার সম্পাদক আর এম সাইফুল আলমকে।
দরজিশ্রমিক খুন: পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, মনিরামপুর উপজেলার চাপাকোনা গ্রামে হিন্দুপাড়ায় রাতে পাহারা দেওয়ার জন্য সম্প্রতি একটি কমিটি গঠন করা হয়। দরজিশ্রমিক আছাদুল বিশ্বাস বৃহস্পতিবার কাজ শেষে সাইকেল চালিয়ে বাড়িতে ফেরার সময় পাহারাদারেরা তাঁর চোখে টর্চের আলো ফেলেন। এ নিয়ে বাগিবতণ্ডা হয়। শুক্রবার রাতে আছাদুল বাড়িতে ফেরার পথে তাঁকে পিটিয়ে জখম করা হয়। যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল তাঁর মৃত্যু হয়।
আছাদুলের ভাই শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামি করে মনিরামপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে আটক করা হয়েছে। আটক দুজন হলেন চাপাকোনা গ্রামের বিশ্বনাথ মণ্ডল ও বিশ্বরঞ্জন মণ্ডল। মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান খান জানান, হিন্দুপাড়ায় রাতে পাহারা দেওয়া কমিটির লোকজন আছাদুলকে পিটিয়ে হত্যা করতে পারেন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।