বুলবুল গুলিবিদ্ধের খবর অপপ্রচার

মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল
মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল

হঠাৎ করেই গুজবের শহরে পরিণত হলো রাজশাহী নগরী। বৃহস্পতিবার দুপুরে দিকে চারদিকে বলাবলি শুরু হলো, রাজশাহী সিটি নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে শুয়ে আছেন।

গুজবটি সংক্রমিত হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক থেকে। এ সময় দেখা যায়, ফেসবুকে হামিদ বেগ নামের একজন তাঁর স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘রাজশাহীতে বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী বুলবুল ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর ওপর গুলি চালিয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা।’

অপর এক স্ট্যাটাসে মাসুম বিন সেলিম নামের এক ব্যক্তি লেখেন, ‘রাসিক মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল গুলিবিদ্ধ।’

দুটি পোস্টেই অভিন্ন একটি ছবি ব্যবহার করা হয়। ফেসবুকে পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়, সাবেক মেয়র বুলবুল পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে শুয়ে আছেন। গুজবটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে নগরীর সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক লক্ষ করা গেছে।

অবশ্য এর কিছুক্ষণ পর মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে জানানো হয়, ‘মেয়র প্রার্থী বুলবুল ভাইকে কেউ হামলা করেনি। ফেসবুকে যে ছবিটি পোস্ট করা হয়েছে, সেটি আগের। অপপ্রচার না চালাতেও আহ্বান জানানো হয়।’

দুপুরের আগে নগরীতে আরও একটি গুজব ছড়িয়ে পড়ে। বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা অভিযোগ করেন, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে বিমানে তুলে দিতে গেলে বিমানবন্দর থানার পুলিশ সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু ও মেয়র প্রার্থী বুলবুলকে আটক করে। পরে থানায় ফোন করে জানা যায়, এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এ বিষয়ে জানতে মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, মিজানুর রহমান মিনু ও জেলা বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়া
বিএনপির মেয়র প্রার্থী বুলবুলের আহত হওয়ার গুজব সম্পর্কে বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য এস এম কামাল হোসেন বলেন, রাজশাহীবাসীকে বিভ্রান্ত করা জন্য বুলবুল সাহেব নিজেকে আহত দাবি করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। এর আগেও তারা নিজেদের সভায় বোমা মেরে আওয়ামী লীগের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করেছে। ৩০ জুলাই ভোট দিয়ে রাজশাহীবাসী এর জবাব দেবে।

ফেসবুকে অপপ্রচারের বিষয়ে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে কামাল হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিকেলে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে রাজশাহী-১ আসনের সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে মিছিল বের করেন। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে এস এম কামাল বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। নৌকার পক্ষে অনেকেই মিছিল করতে পারেন। কিন্তু তিনি পারেন না।