সিলেটে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বিএনপির ৬৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সিলেট নগরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চৌকিদেখি এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের আসামি করে মামলা করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টা থেকে পৌনে ১টার মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাতে মামলা করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা।

জানা গেছে, ওই মামলায় আসামি হিসেবে বিএনপির ৬৫ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এর বাইরে অজ্ঞাতনামা আসামি রাখা হয়েছে আরও ১০ থেকে ১৫ জন।

সিলেট মহানগরের বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌছুল হোসেন আজ শনিবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হোসেন মামলাটি করেছেন।’ তবে আসামিদের নাম প্রচার হয়ে যেতে পারে—এমন শঙ্কায় আপাতত তিনি নাম জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।

ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার সময় কার্যালয়ের ভেতরে থাকা ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এইচ এম ফারুক হোসেন জানিয়েছিলেন, তাঁরা তখন ভোটার স্লিপ তৈরিসহ নির্বাচনের নানা কাজ করছিলেন। এমন সময় হঠাৎ করেই তিনটি মোটরসাইকেলে করে হেলমেট পরা নয়জন যুবক এসে পরপর কয়েকটি ককটেল ফাটায়। কার্যালয়ে থাকা নেতা-কর্মী আর আশপাশের মানুষ কিছু বুঝে ওঠার আগে যুবকেরা দ্রুত আম্বরখানার দিকে পালিয়ে যায়।

গতকাল রাত সাড়ে নয়টার দিকে বিএনপি-মনোনীত মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী নগরের কাজীটুলা উঁচা সড়ক এলাকায় তাঁর প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার রাতে চৌকিদেখিতে নিজেদের বাহিনী দিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে আওয়ামী লীগ। ২০-দলীয় নেতা-কর্মীদের বাসায় তল্লাশি চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।