ডিশ ব্যবসায়ী হত্যা: আ.লীগ নেতাসহ ৮ জন রিমান্ডে

চট্টগ্রামে ডিশ ব্যবসায়ী ফরিদুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার মামলায় এক আওয়ামী লীগ নেতাসহ আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আসামিরা হলেন সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এম এম মুছা, তাঁর সহযোগী মো. মুরাদ, মো. মাসুদ, তৌহিদুল আলম, মো. রাসেল, মো. মিঠু, মো. নবী ও জাবেদ আলম। বাকিরা যুবলীগের কর্মী।

আজ রোববার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম শফি উদ্দিন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। ২২ জুলাই আট আসামি আত্মসমর্পণ করলে তাঁদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছিলেন আদালত। ঘটনার পর থেকে তাঁরা পলাতক ছিলেন।

গত ২৭ এপ্রিল নগরের ডিসি রোডের মিয়ার বাপের বাড়ি এলাকায় ডিশ ব্যবসার দখল নিয়ে ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের একাংশের সহসভাপতি এম এম মুছা ও যুবলীগ কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় গোলাগুলিতে মারা যান ফরিদুল। সংঘর্ষে ককটেলের স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়ে আহত হয় নয় মাসের শিশুসহ চারজন। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির স্ত্রী মনোয়ারা আক্তার বাদী হয়ে ঘটনার দিন রাতে চকবাজার থানায় নয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ১৫-২০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় এম এম মুছা, ছাত্রলীগের কর্মী ফয়সাল ও রাসেল আসামি রয়েছেন। বাকিরা যুবলীগের কর্মী। পুলিশ জানায়, নিহত ফরিদুলের বিরুদ্ধে নগরের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, ডাকাতি ও মারামারির ১৮টি মামলা রয়েছে।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী বলেন, আট আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চকবাজার থানার পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।