সিলেটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই নৌকা-ধানের শীষের

বদরউদ্দিন আহমদ কামরান ও আরিফুল হক চৌধুরী
বদরউদ্দিন আহমদ কামরান ও আরিফুল হক চৌধুরী

বরিশাল ও রাজশাহীতে বিপুল বিজয়ের পথে থাকলেও সিলেট সিটির নির্বাচনে শক্ত লড়াইয়ের মুখে পড়েছে শাসক দল আওয়ামী লীগ। এ পর্যন্ত মোট ১৩৪ কেন্দ্রের মধ্যে অনানুষ্ঠানিকভাবে পাওয়া ১০৫ কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরান ১ হাজার ২২১ ভোটে এগিয়ে আছেন। দুজনের মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে।

আজ সোমবার বিকেল চারটায় ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর বিএনপির  প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী একপ্রকার হতাশার সুরেই নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের দাবি তোলেন। দিনভর ভোট গ্রহণে নানা অভিযোগ করেন সদ্যবিদায়ী এই মেয়র। বিএনপির পক্ষ থেকে আজ দুপুরের দিকে অভিযোগ করা হয়, অন্তত ৪১টি কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দিয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থকেরা। তারা বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছেও জানানোর কথা বলেন। বিএনপি প্রার্থীর বক্তব্য এবং অন্য দুই সিটির নির্বাচনের পরিস্থিতি দেখে এমন ধারণা অনেকের মধ্যে সৃষ্টি হয়, হয়তো সিলেটও শাসক দলের দখল যাবে। তবে আজ ফলাফল ঘোষণার শুরু থেকেই চমক দেখা যায়। সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যে দুটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) গ্রহণ করা হয়েছে, তাতে এগিয়ে যান আরিফুল হক চৌধুরী।
সিলেট নগরীর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আম্বরখানা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে নারী ও পুরুষ কেন্দ্রে বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরী পেয়েছেন ১ হাজার ৩০৮ ভোট আর নৌকা প্রতীকের বদরউদ্দিন আহমদ কামরান পান ৫৬৬ ভোট। দুই কেন্দ্রে জামায়াতের স্বতন্ত্র প্রার্থী এহসানুল মাহবুব জুবায়ের পেয়েছেন ২০০ ভোট।
এরপর একটির পর একটি কেন্দ্রের ফল আসতে থাকলে কঠিন লড়াইয়ের চিত্রটি স্পষ্ট হয়। কখনো এগিয়ে থাকেন কামরান, কখনো আরিফুল।

রাত সোয়া ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৩৪টির মধ্যে ১০৫টি কেন্দ্রে কামরান পেয়েছেন ৭০ হাজার ৮৯৪ ভোট। আর বিএনপির আরিফুল পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৬৭৩ ভোট। এখনো ভোট গণনা চলছে। নগরীর আবুল মাল আবদুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্স থেকে ফল ঘোষণা হচ্ছে। ভোট গ্রহণের পর ক্ষোভ জানিয়েছিলেন যে আরিফুল হক, তিনি এখন সেখানে আছেন।