বাস উদ্ধারে গিয়ে রেকারের হেলপার নিহত

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় দুর্ঘটনাকবলিত বাস উদ্ধার করতে গিয়ে রেকারের হেলপার নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার আহমেদপুর এলাকায় বনপাড়া-নাটোর মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকের নাম সালমান শেখ (২২)। তিনি লালপুর উপজেলার কদিমচিলান গোধরা গ্রামের মানিক শেখের ছেলে।

হাইওয়ে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, গত শনিবার বিকেলে জিএম ট্রাভেলসের যাত্রীবাহী একটি বাসের সঙ্গে একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে বাসটি সড়কের পাশে খাদের দিকে হেলে পড়ে। এ সময় ১০ থেকে ১২ জন আহত হলেও কেউ নিহত হননি। গতকাল সন্ধ্যায় বাসটি রেকারের মাধ্যমে খাদ থেকে টেনে তোলার কাজ শুরু হয়। রেকার দিয়ে বাসটি টেনে তোলার সময় অসতর্ক অবস্থায় রেকারের হেলপার সালমান বাসটির চাকার নিচে পড়ে যান। এতে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

রেকারের মালিক বনপাড়া পৌর শহরের মজিবর রহমান বাচ্চু জানান, এটা একটি অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা।

তবে সালমানের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, রেকারচালক অদক্ষ ছিলেন। তাঁর বাস উদ্ধারের অভিজ্ঞতা না থাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে।

ঝলমলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) শরিফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পরিবার না চাওয়ায় মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়নি। লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মোটরসাইকেলচালকের মৃত্যু
গত রোববার নাটোর-রাজশাহী সড়কে ট্রাক ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে আহত মোটরসাইকেলচালক মারা গেছেন। গতকাল উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

নিহত জীম হোসেন নাটোর শহরের আল মদিনা হাসপাতালের পরিচালক ছিলেন। তিনি নাটোর শহরের হরিশপুর এলাকার রহমত আলীর ছেলে।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মোটরসাইকেল নিয়ে তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন জীম। পথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক তাঁকে চাপা দেয়। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে গতকাল তিনি মারা যান।