মহৎ কর্মযোগী ও দেশপ্রেমিক মানুষ হিসেবে প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন। তাঁর সমগ্র জীবনজুড়ে রয়েছে সততা, একনিষ্ঠতা দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগ। একজন প্রকৌশলী হয়েও তাঁর মধ্যে সার্বক্ষণিক বিপ্লবীর চরিত্র পাওয়া যায়। তাঁর জীবনসংগ্রাম থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।
বামপন্থী আন্দোলনের প্রবীণ কর্মী এবং তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর ৮৭তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত শুভেচ্ছাজ্ঞাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা। মঙ্গলবার বিকেলে পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘বিপ্লবীদের কথা’।
অনুষ্ঠানে বক্তাদের প্রায় সবাই ছিলেন বিভিন্ন বামপন্থী সংগঠনের নেতা ও সাংস্কৃতিক কর্মী। বক্তৃতার ফাঁকে ফাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ। পরিবেশন করা হয় সংগীতানুষ্ঠান।
শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মাধ্যমে সব বামপন্থী শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়াস নেওয়ার আহ্বান জানান। ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ আজীবন বিপ্লবী। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা মনজুরুল আহসান খান বামপন্থীদের ঐক্যের গুরুত্বারোপ করেন।
শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ১৯৩১ সালের ৩১ জুলাই খুলনার দৌলতপুরে জন্মগ্রহণ করেন। রাজনৈতিক বক্তৃতার পাশাপাশি বক্তাদের সবাই তাঁর কর্মময় জীবনের ওপর আলোকপাত করেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাসদের সম্পাদক খালেকুজ্জামান, উদীচীর সভাপতি সফিউদ্দিন আহমেদ, তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, অধ্যাপক এম এম আকাশ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান মল্লিক প্রমুখ।
শুভেচ্ছা বক্তৃতার জবাবে শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, মূলনীতি হতে হবে দেশপ্রেম, মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও তার জন্য ত্যাগস্বীকার করা। সব সময় সামনের দিকে তাকাতে হবে। সঠিক ‘লাইন’ খুঁজে সেই পথ ধরে চলতে হবে। যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হবে এবং শ্রমসহিষ্ণুতা রক্ষা করতে হবে।