গণিতের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ

নেত্রকোনায় চলতি এসএসসি পরীক্ষার বিভিন্ন বিষয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। সপ্তাহ ধরে মুঠোফোনের খুদেবার্তার (এসএমএস) মাধ্যমে ফাঁস হওয়া চারটি সেটের প্রশ্নপত্রের সঙ্গে গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত গণিত পরীক্ষার ১০০ নম্বরের মিল পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রকে একটি মহল ‘সাজেশন’ বলে প্রচার করছে। শতভাগ কমন পড়ার নিশ্চয়তা দিয়ে এসব প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। এরা কোচিং, প্রাইভেট ও টিউশনির সঙ্গে জড়িত। ইতিমধ্যে অনুষ্ঠিত এসএসসির কয়েকটি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সঙ্গে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়া গেছে। ফলে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখার চেয়ে প্রশ্ন সংগ্রহেই বেশি মনোযোগী হয়ে পড়েছে। তবে কোথা থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে, সে ব্যাপারে কেউ কিছু বলছেন না।
গতকাল অনুষ্ঠিত গণিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের চারটি সেট এক সপ্তাহ আগে থেকেই মুঠোফোনের খুদেবার্তায় অনেক শিক্ষার্থীর হাতে চলে যায়। অনেক শিক্ষার্থী এসব প্রশ্ন সংগ্রহ করে। অনেক অভিভাবকও তাঁদের সন্তানদের জন্য এসব প্রশ্ন সংগ্রহ করেন।
ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করেছেন এমন কয়েকজন অভিভাবকের সঙ্গে কথা হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁরা বলেন, বেশির ভাগ শিক্ষার্থী যখন এসব প্রশ্ন সংগ্রহ করে ভালো প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দেয়, তখন ওই প্রশ্ন সংগ্রহ না করলে তো ছেলেমেয়েরা ভালো ফল করতে পারবে না।
কয়েকজন পরীক্ষার্থী বলে, ‘প্রথম পরীক্ষায় অনেকে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন সংগ্রহ করে ভালো পরীক্ষা দিয়েছে। যারা প্রশ্ন সংগ্রহ করতে পারেনি, তারা মার খেয়েছে। তাই এখন আমরাও তা সংগ্রহ করেছি।’
কয়েকজন শিক্ষক জানান, গণিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সঙ্গে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের মিল ছিল। চারটি সেট মিলিয়ে ১০০ নম্বর কমন পড়েছে। নেত্রকোনা আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর হায়দার ফকির জানান, হুবুহু কমন পড়ছে না। এগুলো সাজেশন আকারে আসছে।