আ.লীগের প্রার্থী নির্ধারণের সভার আগে দুই পক্ষের সংঘর্ষ

কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং ও ব্রাক্ষণপাড়া) আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ আবদুল মতিন খসরুর গ্রামের বাড়িতে দলীয় দুই উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।
দলীয় কয়েকজন নেতা-কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জাহাঙ্গীর খান চৌধুরী ও মুহাম্মদ আবু তাহের প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচনে একক প্রার্থী দেওয়ার জন্য সাংসদ আবদুল মতিন খসরু উপজেলার মিরপুর গ্রামে তাঁর বাড়িতে গত শনিবার রাত আটটায় সভা ডাকেন। সভায় উভয় প্রার্থীর সমর্থক ও অনুসারীরা হাজির হন। সভা শুরুর আগেই উভয় প্রার্থীর অনুসারীদের মধ্যে বাগিবতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে জাহাঙ্গীর খান চৌধুরীর অনুসারীরা অপর প্রতিদ্বন্দ্বী মুহাম্মদ আবু তাহেরের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এতে তাহেরের ভাই মুহাম্মদ আবু জাহের, তাহেরের ছেলে আবু সাইয়িদসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। ওই সময়ে তাহেরের অনুসারীদের দুটি মোটরসাইকেল ও একটি মাইক্রোবাস ভাঙচুর করা হয়। পরে তাহেরের অনুসারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। সাংসদ আবদুল মতিন খসরু ওই সময়ে বাড়িতে ছিলেন না। তিনি বুড়িচং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভা শেষ করে রাত পৌনে আটটায় বাড়িতে পৌঁছান। এরপর তাঁর বাড়ির সামনে সভা বসে। জাহাঙ্গীর খান চৌধুরীকে চেয়ারম্যান পদে, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সুলতান আহম্মদকে ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক জাহানারা বেগমকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে সমর্থন দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে মুহাম্মদ আবু তাহের বলেন, ‘জাহাঙ্গীর খান চৌধুরীর প্রচ্ছন্ন ইশারায় ওই হামলার ঘটনা ঘটে। অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আমার ভাই, ছেলে ও কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়।’ অভিযোগের বিষয়ে জাহাঙ্গীর খান চৌধুরী বলেন, ‘তাহেরের লোকজন প্রথমে আমার কর্মী জজু মিয়াকে মারধর করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দলীয় কর্মীরা তাদের তাড়িয়ে দেয়।’