বান্দরবানের রুমায় রাতের আঁধারে খুন মারমা কার্বারী ও ছেলে

বান্দরবানে রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নে গতকাল শুক্রবার রাতে উজানীপাড়ার এক সাবেক কার্বারী (পাড়াপ্রধান) ও তাঁর ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। কার্বারীর আরেক আত্মীয়কে মারাত্মক আহত অবস্থায় সেনাসদস্যরা উদ্ধার করেছেন বলে সেনাবাহিনী রুমা জোনের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শাহ নেওয়াজ জানিয়েছেন।

পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের তথ্যমতে, গতকাল দিবাগত রাত দুইটার দিকে উজানীপাড়ার সাবেক কার্বারী কে অং প্রু মারমার (৬০) বাড়ির ওপর নতুন কার্বারীর লোকজন হামলা চালায়। হামলায় সাবেক কার্বারী কে অং প্রু সঙ্গে সঙ্গেই নিহত হন। তাঁর ছেলে মং এচিং মারমাকে (৩২) খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে সেনাসদস্যরা তাঁর ক্ষতবিক্ষত লাশ পাড়ার নিচে জঙ্গলে খুঁজে পান। একজনকে মারাত্মক আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর নাম জানা যায়নি।

পাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা বলেছেন, উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে মিয়ানমার সীমান্তের কাছাকাছি উজানীপাড়ায় নতুন কার্বারী ও পুরোনো কার্বারীর মধ্যে গত বছর থেকে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। গত বছর নতুন কার্বারীর আত্মীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নুসিংমং মারমাকে হত্যা করা হয়। তাঁকে হত্যার অভিযোগে সাবেক কার্বারী ও তাঁর ছেলে কারাগারে ছিলেন। সম্প্রতি কারাগার থেকে বের হওয়ার পর নতুন কার্বারীর সঙ্গে বিরোধ আবার চরম আকার ধারণ করে। এই দ্বন্দ্বের জের ধরে খুনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে চেয়ারম্যান জানিয়েছেন।

রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম জানান, পাড়াটি অত্যন্ত দুর্গম এলাকায়। লাশ উদ্ধারে তিনি পাড়ার দিকে যাচ্ছেন।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শাহ নেওয়াজ বলেন, সেনাবাহিনী সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উজানীপাড়া গেছে। সেখান থেকে সাবেক কার্বারী ও তাঁর ছেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গুরুতর আহত আরেকজনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হচ্ছে। পাড়ার সাবেক ও বর্তমান কার্বারীর লোকজনের দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।