৪৫টি স্থান থেকে যাতায়াত করছে শিক্ষার্থীরা

কুর্মিটোলার শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পাওয়া বাসে যাতায়াত করছে। গতকাল দুপুরে   প্রথম আলো
কুর্মিটোলার শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পাওয়া বাসে যাতায়াত করছে। গতকাল দুপুরে প্রথম আলো

প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বাসে করে ঢাকা ও টঙ্গীর ৪৫টি স্থান থেকে কলেজে আসা-যাওয়া করছে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থীরা। এত দিন কলেজটির নিজস্ব কোনো পরিবহনব্যবস্থা না থাকায় গণপরিবহনে করে যাতায়াত করতে হতো তাদের। নিরাপদে রাস্তা পারাপারের জন্য গতকাল বুধবার কলেজের সামনে বিমানবন্দর সড়কে জেব্রা ক্রসিংও করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

শিক্ষার্থীরা বলছে, বাসগুলো তাদের যাতায়াতকে সহজ করেছে। তবে সড়কব্যবস্থা নিরাপদ হলেই কেবল সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত তাদের দুই সহপাঠীর আত্মা শান্তি পাবে বলে মনে করে তারা।

গত ২৯ জুলাই উড়ালসড়কের ঢালে বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের চাপা দেয় জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস। এতে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের আবদুল করিম রাজীব ও দিয়া খানম নিহত হন। আহত হয় অন্তত আরও ১২ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে দুজন এখনো সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্যরা চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছে।

মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনার পর রাজধানীসহ সারা দেশে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নামে। ৪ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কলেজকে পাঁচটি বাস উপহার দেন। এর মধ্যে একটি দ্বিতল, একটি ৩০ আসনবিশিষ্ট কোস্টার, বাকি তিনটি একতলার বাস।

গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, কলেজটির ঠিক সামনেই বাসগুলো দাঁড়িয়ে আছে। পৌনে ১২টায় কলেজ ছুটির পর শিক্ষার্থীরা যখন বেরিয়ে আসছে, তখনই কলেজের অধ্যক্ষ নূর নাহার ইয়াসমীন মাইকে সুশৃঙ্খলভাবে বাসে ওঠার জন্য শিক্ষার্থীদের নির্দেশনা দিচ্ছিলেন।

কলেজের বাণিজ্য বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবির আহমদ মিরপুর থেকে বাসে করে যাতায়াত করে। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, আগে কলেজ ছুটির পর রাস্তা পার হয়ে বাসে উঠতে হতো। কিন্তু এখন বাস পাওয়ায় এই ঝুঁকি নিতে হয় না।

কয়েকজন শিক্ষার্থী বলে, বাস চালু হওয়ার পর থেকে তিন দিন ধরে যাতায়াত করছে তারা। বাসগুলো নতুন হলে যাতায়াত আরও আনন্দদায়ক হতো বলে মন্তব্য করে তারা।

সার্বিক বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। শিক্ষার্থীরাও ক্লাস করছে নিয়মিত। বাসগুলো যুক্ত হওয়ায় তাদের উপস্থিতি আরও স্বতঃস্ফূর্ত হয়েছে। তিনি বলেন, সিএমএইচে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীদের মধ্যে চারজনকে গতকাল ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি দুজন চিকিৎসাধীন রয়েছে।