কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান উৎসব

শিক্ষার্থীদের প্রকল্প ঘুরে দেখছেন অতিথিরা
শিক্ষার্থীদের প্রকল্প ঘুরে দেখছেন অতিথিরা

‘বায়ুকলের মাধ্যমে বাড়িতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের’ একটি প্রকল্প নিয়ে হাজির হয়েছিল দশম শ্রেণির পাঁচ শিক্ষার্থী। ৮ আগস্ট কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান উৎসবে দেখা হলো তাদের সঙ্গে। পাঁচজনই কুমিল্লার কোটবাড়ি এলাকার শালবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। শুধু এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিই নয়, কুমিল্লা জেলার প্রায় ২০টি প্রতিষ্ঠানের খুদে বিজ্ঞানীরা নানা ধরনের প্রকল্প উপস্থাপন করে এই উৎসবে। প্রকল্প উপস্থাপন ছাড়াও পোস্টার প্রদর্শনী, অলিম্পিয়াড, রুবিকস কিউব প্রতিযোগিতা, সেমিনার ও পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে শেষ আয়োজনটি। আয়োজক-কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি সায়েন্স ক্লাব ওই উত্সবের আয়োজন করে। এতে কুমিল্লা জেলার ৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১ হাজার ২০০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।

সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে উত্সবের উদ্বোধন করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এমরান কবির চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান মো. আবু তাহের, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এ কে এম রায়হান উদ্দিন, প্রকৌশল অনুষদের ডিন সজল চন্দ্র মজুমদার। সভাপতিত্ব করেন সায়েন্স ক্লাবের সভাপতি ওবায়দুল হক।

উপাচার্য অধ্যাপক এমরান কবির চৌধুরী বলেন, ‘বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গড়তে হলে ছোটবেলা থেকেই উদ্ভাবনী দক্ষতা থাকতে হবে। এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মধ্যে সেই সম্ভাবনা আছে। এখনকার ছেলেমেয়েরা প্রযুক্তিগত শিক্ষায় বেশ এগিয়ে আছে। ঠিকমতো নির্দেশনা পেলে তাদের বিজ্ঞান শিক্ষা আরও বেগবান হবে।’

দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ভবনে অনুষ্ঠিত হয় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত জুনিয়র পর্যায়ে, নবম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মাধ্যমিক পর্যায়ে, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরাও অলিম্পিয়াডে অংশ নেন। প্রতিযোগিতায় মোট ৬৬ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

বিকেলে বিজ্ঞানভিত্তিক সেমিনার হয় বিজ্ঞান ভবনে। এতে প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (প্লাজমা ফিজিকস বিভাগ) মো. খায়রুল ইসলাম।

আয়োজন নিয়ে কুমিল্লা সরকারি সিটি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী কৌশিক চাকমা বলেন, ‘বিজ্ঞান উৎসবের সুযোগে বিশ্ববিদ্যালয়টা ঘুরে গেলাম। ভবিষ্যতে আমি এখানেই পড়তে চাই।’ আয়োজকদের একজন, সায়েন্স ক্লাবের আপ্যায়ন সম্পাদক মাহের রাহাত জানালেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবারই প্রথম এ ধরনের উৎসব হলো। ভবিষ্যতে তাঁরা আরও বড় পরিসরে আয়োজন করতে চান।