মিডিয়ার একাংশ সরকার হটানোর ষড়যন্ত্রে: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশে আবারও ১/১১-এর ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। যারা বি-রাজনীতিকরণ করতে চেয়েছিল, তাদের সহযোগী ছিল মিডিয়ার একটি অংশ। সেই মিডিয়া, একটি দলের উসকানিতে শেখ হাসিনার সরকার হটানোর ষড়যন্ত্রে নেমেছে। তারাই অপপ্রচার চালাচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগ শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সেই মিডিয়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আক্রান্তদের আক্রমণকারী হিসেবে উপস্থাপন করেছে। এমনকি আওয়ামী লীগের যে কর্মীর চোখ নষ্ট হয়ে গেছে, তাঁকে শিক্ষার্থী হিসেবে উপস্থাপন করে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফেরানোর বিষয়ে মন্ত্রী কাদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে যে খুনি অবস্থান করছে, তাকে সরানোর জন্য ট্রাম্প প্রশাসন সবুজ সংকেত দিয়েছে। কানাডায় মৃত্যুদণ্ড না থাকায় আইনি জটিলতার কারণে এই মুহূর্তে ওখানে অবস্থানরত খুনিকে আনা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, আরেক দেশে থাকা বঙ্গবন্ধুর এক খুনিকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে অগ্রগতি ৯০ ভাগ সফল। কূটনৈতিক উদ্যোগ সফল হতে যাচ্ছে।

খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালনের কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের রাজনীতির কারও কারও আচরণ বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের চেয়েও নৃশংস। এখানেই আমাদের প্রশ্ন রাখা উচিত। স্কুলে, বিবাহে, পাসপোর্টসহ মোট পাঁচটি জন্ম দিবস। এখন তাঁরা জন্মদিন পালন করছে, ফরম্যাট পরিবর্তন করে। তাঁদের আমরা ঘৃণা করি, ধিক্কার জানাই।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ভুয়া জন্মদিন পালন করা একটা পাপ, একটা অপরাধ। বাংলাদেশে এই ধরনের নোংরা দৃষ্টান্ত যারা স্থাপন করেছে, তারাই আজ অগণতান্ত্রিকভাবে সরকার হটানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে।

ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক তাসলিমা আক্তারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, কেন্দ্রীয় সদস্য মারুফা আত্তার প্রমুখ বক্তব্য দেন।