ফাঁদ পেতে টাকাসহ এলজিইডির প্রকৌশলী গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার হওয়া প্রকৌশলী এহতেশামুল হকের সঙ্গে দুদকের দল। ছবি: দুদকের সৌজন্যে
গ্রেপ্তার হওয়া প্রকৌশলী এহতেশামুল হকের সঙ্গে দুদকের দল। ছবি: দুদকের সৌজন্যে

স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) একজন উপসহকারী প্রকৌশলীকে ফাঁদ পেতে ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ওই প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে তাঁকে ঘুষের ৫০ হাজার টাকাসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার হওয়া প্রকৌশলীর নাম এহতেশামুল হক।
দুদক সূত্র জানায়, দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক নাসিম আনোয়ার ও ঢাকা-২-এর উপপরিচালক মোরশেদ আলমের তত্ত্বাবধানে গঠিত একটি দল নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ের এলজিইডির অফিসে অভিযান চালিয়ে প্রকৌশলীকে গ্রেপ্তার করে।
দুদক জানায়, মো. মোজাম্মেল হক নামের একজন ঠিকাদার দুদকে এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি বলেন, সম্প্রতি সর্বনিম্ন দরপত্রদাতা হিসেবে ১০ লাখ টাকার একটি উন্নয়নকাজ পান। কার্যাদেশ দেওয়ার সময় উপসহকারী প্রকৌশলী তাঁর নিজের এবং উপজেলা প্রকৌশলীর নাম করে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। দর-কষাকষির পর ৮০ হাজার টাকায় রফা হয়। অগ্রিম হিসেবে কার্যাদেশ দেওয়ার সময় তিনি ৩০ হাজার টাকা দিতে বাধ্য হন।
অভিযোগে তিনি বলেন, কাজ শেষ হওয়ার পর ১৩ আগস্ট চূড়ান্ত বিল অনুমোদনের জন্য উপজেলা প্রকৌশলী বরাবর আবেদন করলে সেটা এহতেশামুল হকের কাছে পাঠানো হয়। এহতেশামুল হক ঘুষের বকেয়া ৫০ হাজার টাকা দেওয়া ছাড়া বিল অনুমোদন করতে অস্বীকার করেন। তখন তিনি এ বিষয়ে সম্মত হয়ে বিষয়টি দুদকে লিখিত আবেদন করেন।
ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফাঁদ পরিচালনার জন্য ১১ সদস্যের একটি দল গঠন করে দুদক। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা এলজিইডির কার্যালয়ে ফাঁদ পেতে ঘুষের ৫০ হাজার টাকাসহ উপসহকারী প্রকৌশলী মো. এহতেশামুল হককে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে।
অবৈধভাবে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-২-এর সহকারী পরিচালক ফজলুল বারী মামলা করবেন।