সৈয়দপুরে বিদ্যুৎ কার্যালয়ের সামনে ময়লা ফেলল কে?

নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) কার্যালয়ের প্রধান ফটকে ট্রাকে করে ময়লা ফেলা হয়। সৈয়দপুর, ২১ আগস্ট। ছবি: প্রথম আলো।
নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) কার্যালয়ের প্রধান ফটকে ট্রাকে করে ময়লা ফেলা হয়। সৈয়দপুর, ২১ আগস্ট। ছবি: প্রথম আলো।

সৈয়দপুরে নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) কার্যালয়ের প্রধান ফটকে আজ সকালে হঠাৎ করেই দুই ট্রাক ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ ময়লা ফেলল কে? পৌরসভার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি সইতে না পেরে জনগণ নেসকোর প্রধান ফটকে এই ময়লা ফেলে গেছে।

নেসকো বলেছে, বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের তাগাদা দেওয়া হলে খেপে যান পৌরসভার মেয়র। তাঁরই নির্দেশে পৌরসভার ময়লা ফেলার ট্রাকে করে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়।

সৈয়দপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ জিয়াউল হক বলেন, ‘পৌরসভা কেন ময়লা-আবর্জনা নেসকোর কার্যালয়ের সামনে ফেলতে যাবে? সবাই দেখছেন, তিন দিন ধরে ভয়াবহ লোডশেডিং চলছে। এ কারণে জনরোষ ফুঁসে উঠেছে। তারাই এ কাজটি করে। এতে ওই এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের বাসিন্দারা এ নিয়ে পৌরসভায় অভিযোগ করেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও আবর্জনা সরিয়ে নিতে অনুরোধ জানানো হয়। বেলা ১১টার দিকে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ওই ময়লা-আবর্জনা সরিয়ে নেন।’

নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, ‘সৈয়দপুর পৌরসভার প্রায় এক কোটি ৩৭ লাখ টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। সম্প্রতি ওই বিল পরিশোধের জন্য পৌরসভাকে তাগাদা দেওয়া হয়। এতে বিরোধ দেখা দেয়। এ সূত্র ধরেই নেসকোর প্রধান কার্যালয়ের সামনে ময়লা-আবর্জনা ঢালা হয়েছে বলে মনে হয়।’

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বজলুর রশীদ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।