সিদ্ধিরগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পারিবারিক কলহের জের ধরে আলো আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নিহত নারীর স্বামী গোদনাইল শান্তিনগর এলাকার বাবুলের ছেলে জনি মিয়াকে (২৫) পুলিশ আটক করেছে। নিহত আলো মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থানার শেলামতি এলাকার মৃত রফিক মিয়ার মেয়ে। এ ঘটনায় আলোর মামা আদর মিয়া বাদী হয়ে শুক্রবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করার পর জনি মিয়াকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে গোদনাইলের চৌধুরীবাড়ির শান্তিনগর এলাকায় হত্যার ঘটনাটি ঘটে। শুক্রবার ভোরে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিন জানান, নিহত গৃহবধূর আলোর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ঘুড়ি উড়ানোর নাটাই ও রক্তমাখা কাপড় উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নাটাই দিয়ে পিটিয়ে গৃহবধূ আলোকে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া লাশের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহত গৃহবধূ আলো গোদনাইলের আর কে গ্রুপের একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী জনিকে আটকের পর গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আলোর স্বামী জনিও অন্য একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন।

আলোর মামা আদর মিয়া জানান, আলোর মা-বাবার মৃত্যুর পর একমাত্র ভাগনিকে তাঁরাই লালন-পালন করেছেন। পাঁচ বছর আগে গোদনাইল শান্তিনগর এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে জনির সঙ্গে তাঁর ভাগনিকে বিয়ে দেন। তাঁর ভাগনি আলোকে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সাত্তার বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে আলোকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত আলোর স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে নিহত নারীর মামা আদর মিয়া বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।