জুস আর ব্যায়ামে বের হলো পেটের সোনা

কিছুতেই তিনি স্বীকার করছিলেন না যে পেটের ভেতর বস্তু আছে। প্রথমে খাওয়ানো হলো জুস। তারপর কলা-রুটি। এরপর ও্ঠবস ব্যায়াম। এবার বের হয়ে এল পেটের ভেতর থাকা সোনা। 

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটে। আটক করা ওই যাত্রীর নাম সালাউদ্দিন। তাঁর পায়ুপথ থেকে বের করা ৫৬৪ গ্রাম সোনা। এর মধ্যে চারটি সোনার বারের ওজন ছিল ৪৬৪ গ্রাম। বাকি এক শ গ্রাম ছিল স্বর্ণালংকার।

আরব আমিরাত থেকে আকাশপথ পাড়ি দিয়ে ঢাকায় আসেন সালাউদ্দিন। হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে আসার পর আচরণ ছিল অস্বাভাবিক। হাঁটাচলায় তা ধরা পড়ে। সন্দেহ হলে বিমানবন্দরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। ওই যাত্রীর কাছে একপর্যায়ে জানতে চাওয়া হয়, সোনার বার বা অন্য কোনো জিনিস পেটের ভেতর লুকিয়ে রাখা হয়েছে কি না।

কিন্তু কোনো জিনিস লুকিয়ে আনার কথা অস্বীকার করেন সালাউদ্দিন। তাঁকে ফলের জুস, পানির মতো তরল খাবার খাওয়ানো হয়। এতে কাজ হয়নি, তখন কলা ও রুটি খাওয়ানো হয়। তবুও অস্বীকার করে যাচ্ছিলেন তিনি। তখন ব্যায়াম করানো হয়। আর এতেই বের করে দেন চারটি সোনার বার ও বেশ কিছু সোনার চুরি, আংটি ও চেইন।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শহীদুল ইসলাম বলেন, সালাউদ্দিন নামের ওই যাত্রী দুবাই থেকে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে দেশের আসেন। গোপন সংবাদ পেয়ে গ্রিন চ্যানেল পাড় হওয়ার সময় ওই যাত্রীকে শুল্ক গোয়েন্দা দল আটক করে। সুনিশ্চিত তথ্য থাকার পরও জিজ্ঞাসাবাদে সোনার চালান বহনের বিষয়টি অস্বীকার করেনসালাউদ্দিন। একপর্যায়ে ওই যাত্রী তাঁর পায়ুপথে সোনার বার ও গয়না থাকার কথা স্বীকার করেন। এরপর বিশেষ কায়দায় ব্যায়াম করিয়ে, রুটি, কলা, জুস ও পানি খাইয়ে শুল্ক গোয়েন্দা দল সালাউদ্দিনের পায়ুপথ থেকে চারটি সোনার বার ও গয়না বের করিয়ে আনেন। জব্দ করা সোনার মূল্য প্রায় ৩৫ লাখ টাকা। এসব সোনা ঢাকা কাস্টমস হাউসের গুদামে জমা প্রদান করা হয়েছে। এর ভিজিআর নম্বর ২০৬৫/১৮। এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়েছে।