লামায় পাহাড় কাটার ঘটনায় দুদকের হস্তক্ষেপ: মামলা, জরিমানা ও এক্সকেভেটর জব্দ

অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা সহায়তা করেন। ছবি: দুদকের সৌজন্যে
অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা সহায়তা করেন। ছবি: দুদকের সৌজন্যে

বান্দরবানের লামা উপজেলায় ১৪ একর পাহাড় কাটার ঘটনা উদ্‌ঘাটিত হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হস্তক্ষেপে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে কয়েক দিনের অভিযানে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা ও জরিমানা করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে পাহাড় কাটার জন্য ব্যবহৃত এক্সকেভেটর।
আজ সোমবার দুদকের জনসংযোগ বিভাগ প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছে।

দুদক জানিয়েছে, সংস্থার অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) অভিযোগ আসার পর তাদের তত্ত্বাবধানে পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অনবরত অভিযান পরিচালিত হয়।
দুদকের এনফোর্সমেন্ট অভিযানের সমন্বয়কারী দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বান্দরবান জেলা প্রশাসককে পরিবেশবিধ্বংসী এ তৎপরতা প্রতিহত করার কঠোর নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার থেকে অভিযান শুরু হয়। প্রথম দিন লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে পুলিশের সহায়তায় তাৎক্ষণিকভাবে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের আওতায় পাহাড় কেটে ইটভাটা প্রস্তুতের অপরাধে ভাটার তিন মালিককে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

পরদিন সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত দিবাগত রাত তিনটা পর্যন্ত লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে আবারও অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে অবৈধভাবে প্রায় ১৪ একর পাহাড় কাটার ঘটনা উদঘাটন করে ঘটনাস্থল থেকে তিনটি এক্সকেভেটর ও এক লাখ ইট জব্দ করা হয়।

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে সব যন্ত্রপাতি জব্দ করে পরিবেশ অধিদপ্তরের হেফাজতে নেওয়া হয়। অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা সহায়তা করেন। এ ছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তর দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে লামা থানায় পরিবেশ আইনে মামলা করে।

এ প্রসঙ্গে দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘পাহাড় কাটার মতো পরিবেশবিধ্বংসী কাজের প্রধান কারণ দুর্নীতি। প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের নজরদারির অভাবে এই ধ্বংসযজ্ঞ ঘটছে। দুদক পাহাড় কাটার ঘটনার পেছনে দুর্নীতির উৎস অনুসন্ধান ও তদন্ত করবে। দায়ী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’