আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের জামিন আবেদন কাল নিম্ন আদালতে নিষ্পত্তির আদেশ হাইকোর্টের

আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। ফাইল ছবি
আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। ফাইল ছবি

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করা মামলায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের জামিন আবেদন নিম্ন আদালতে কাল মঙ্গলবারের মধ্যে নিষ্পত্তির আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ আদেশ দিয়েছেন।

এর আগে শহিদুল আলম হাইকোর্টে জামিন আবেদন করলে ৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চের এক বিচারপতি বিব্রত বোধ করেন। বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের একজন বিচারপতি বিব্রত বোধ করেছেন জানিয়ে আদালত বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর প্রধান বিচারপতি এই বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। সেই ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি হয়।

আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সারা হোসেন ও জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ ও খোরশেদুল আলম।

সারা হোসেন প্রথম আলোকে জানান, শহিদুল আলমের জামিন আবেদন কাল মঙ্গলবারের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ‘উসকানিমূলক মিথ্যা’ প্রচারের অভিযোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করা মামলায় গত ৬ আগস্ট শহিদুল আলমকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। এর আগের দিন রাতে ধানমন্ডির বাসা থেকে তাঁকে তুলে নেয় ডিবি। সাত দিনের রিমান্ড শেষে গত ১২ আগস্ট শহিদুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন নিম্ন আদালত।

ওই মামলায় গত ৬ আগস্ট ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম শহিদুল আলমের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। ১৪ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করা হলে ১১ সেপ্টেম্বর শুনানির জন্য দিন ধার্য রাখেন। এরপর ১৯ আগস্ট শুনানির তারিখ এগোনোর জন্য আবেদন করা হলে তা গ্রহণ করা হয়নি। এরপর ২৬ আগস্ট শহিদুল আলমের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চাইলে ওই আদালত শুনানির জন্য তা গ্রহণ করেননি। এ অবস্থায় ২৮ আগস্ট হাইকোর্টে তাঁর জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। ২৯ আগস্ট আবেদনটি শুনানির জন্য আরজি জানানো হয়। ৪ সেপ্টেম্বর আবেদনটির ওপর শুনানিতে হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চের একজন বিচারপতি বিব্রতবোধ করেন।