হত্যা মামলায় দুই ভাইসহ তিনজনের যাবজ্জীবন

শেরপুরের নকলায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে দুই সহোদরসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও চার মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার ছত্রকোনা গ্রামের আজগর আলীর ছেলে বেলাল হোসেন (৩৬) ও ওয়াজকরনী (৩৩) এবং সেকান্দর আলীর ছেলে সবুজ (৩৩)। হত্যার শিকার ব্যক্তি হলেন নকলা উপজেলার ছত্রকোনা গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে আবদুল মোতালেব।

আজ সোমবার বিকেলে শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন এ দণ্ডাদেশ দেন। মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত আসামি সেকান্দর আলী, আজগর আলী, আন্তাজ আলী, রেজাউল, মিজানুর রহমান, জালাল উদ্দিন ও রাজুকে বেকসুর খালাস দেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে সন্ধ্যায় তাঁদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী শেখ ফরিদ আহমেদ দণ্ডাদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্রে মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে নকলা উপজেলার ছত্রকোনা গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে খোরশেদ আলমের সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মামলা-মোকদ্দমা ও বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে ২০১০ সালের ২৩ অক্টোবর আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে খোরশেদ আলমের বাড়িতে হামলা করেন। এ সময় হামলাকারীদের প্রতিরোধ করতে গেলে আসামিরা লোহার রড ও হকিস্টিক দিয়ে খোরশেদ আলমের ছোট ভাই আবদুল মোতালেবকে বেধড়ক মারপিট করেন। একপর্যায়ে তিনি (মোতালেব) ঘটনাস্থলেই মারা যান। হামলায় আরও দু-তিনজন আহত হন। এ ঘটনায় খোরশেদ আলম বাদী হয়ে নকলা থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্ত শেষে থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) অচিন্ত্য দেবনাথ ২০১১ সালের ১৬ মার্চ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ শেষে আদালত আজ রায় ঘোষণা করেন।

অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) মঞ্জুরুল ইসলাম রাষ্ট্রপক্ষে এবং সিরাজুল ইসলাম ও পঙ্কজ নন্দী আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন।