প্রশিক্ষিত জনবল ছাড়া দক্ষ প্রশাসন সম্ভব নয়: প্রধান বিচারপতি

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষের যুগে একটি প্রশিক্ষিত ও প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন জনবল ছাড়া কোনো দক্ষ প্রশাসন গঠন করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, দক্ষতা অর্জনের জন্য যুগোপযোগী ও বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই।

সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে আজ রোববার আয়োজিত এক সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধান বিচারপতি এ কথা বলেন।

আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জি ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল জাকির হোসেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার বদরুল আলম ভূঞা। ইউএনডিপির সহযোগিতায় আপিল বিভাগে কর্মরত ৬০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর প্রশিক্ষণ কোর্স শেষে সনদ বিতরণ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, আপিল বিভাগে কর্মরত ৬০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। প্রশিক্ষণার্থীরা অত্যন্ত আন্তরিকতা এবং আনন্দের সঙ্গে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। প্রশিক্ষণ মডিউল যুগোপযোগীভাবে সাজানো হয়েছে। এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একজন কর্মকর্তা/কর্মচারী আচরণ বিধিমালা, অফিস শৃঙ্খলা, আপিল বিভাগের বিদ্যমান জটিল বিধিমালা সম্পর্কে অবহিত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আইটি-সংক্রান্ত বিষয়ে তারা যে জ্ঞান অর্জন করেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তাদের করণীয় সম্পর্কে বিদ্যমান আইন সম্পর্কেও তারা অনেক কিছু জেনেছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এ প্রশিক্ষণ কোর্স তাদের আইটি সম্পর্কে ধারণাকে আরও বহুমাত্রিক ও বিস্তৃত করবে। এতে অফিসের কাজের গুণগত মান বেড়ে যাবে। প্রশিক্ষণার্থীরা তাদের এ অর্জিত জ্ঞানকে কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ করলেই প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য বহুলাংশে সার্থক হবে। কাজের গুণগতমান পূর্বের তুলনায় বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে বলে আমি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি।’
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীরা একটি সুবিন্যস্ত মামলা ব্যবস্থাপনা এবং দাপ্তরিক কর্মপরিকল্পনার সক্ষমতা অর্জনসহ সামগ্রিক দক্ষতা লাভ করে।

বিচারপতি ইমান আলী সভাপতির বক্তৃতায় বলেন, কর্মদক্ষতা অর্জনে প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। এ প্রশিক্ষণ কর্মক্ষেত্রে কাজে লাগাতে হবে। কোনো শিক্ষাই বিফলে যায় না, শিক্ষা কেউ চুরি করতে পারে না। তিনি বলেন, ‘একটা সময় ই-জুডিশিয়ারি বিষয় আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। এখন এটাই বাস্তবতা।’