মহেশখালীর পাহাড়ে অস্ত্রের কারখানা, অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় পাহাড়ের গহিন অরণ্যে দেশীয় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। রোববার বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত বড় মহেশখালী ইউনিয়নের পাহাড়তলির পাহাড়ি এলাকার গহিন অরণ্যে এ অভিযান চালানো হয়।

মহেশখালী থানা-পুলিশের ভাষ্যমতে, অস্ত্রের কারিগরদের ধরার জন্য বিকেলে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল পাহাড়ের গহিন অরণ্যে অভিযান চালায়। একপর্যায়ে পাহাড়ের ভেতরে শোয়ারের ঘোনায় পৌঁছালে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় ঘণ্টাব্যাপী দফায় দফায় অস্ত্র কারখানার লোকজনের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করেন। এ সময় পুলিশ পাহাড়ের ভেতরে গিয়ে অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পায়। সেখানে অস্ত্র তৈরির কারিগর ইছাহাককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পাশাপাশি কারখানা থেকে ১০টি অস্ত্র, ১০টি গুলিসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় রাতে ইছাহাকের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে আরও একটি মামলা হচ্ছে।


জানতে চাইলে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ পাহাড়ের গহিন অরণ্যে একটি অস্ত্রের কারখানার সন্ধান পেয়েছে। এ সময় অস্ত্র তৈরির কারিগর ইছাহাককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁর কারখানা থেকে ড্রিল মেশিন, বন্দুক তৈরির পাইপসহ অস্ত্র তৈরির ৩৩ ধরনের সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। তবে অস্ত্র কারখানার সন্ধান পেতে পাহাড়ে পুলিশের সঙ্গে কারিগরদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশের পক্ষ থেকে ৫০টি গুলি ছোড়া হয়।

ওসি জানান, ইছাহাক উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের পাহাড়তলি এলাকার অলি আহমদের ছেলে। পুলিশ বলছে, ইছাহাক তালিকাভুক্ত অস্ত্রের কারিগর। তাঁর বিরুদ্ধে দুই অস্ত্র আইনসহ তিনটি মামলা রয়েছে।