ঐক্যের সঙ্গে মোকাবিলা করার শক্তি সরকারের নেই

খন্দকার মোশাররফ হোসেন
খন্দকার মোশাররফ হোসেন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সরকারকে তাড়াতে জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এখন যাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম, তাদের নিয়ে কখনো সংগ্রাম হয়? যাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন, তাদের নিয়ে কীভাবে আন্দোলন হবে?

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ঐক্যের সঙ্গে মোকাবিলা করার শক্তি সরকারের নেই। সে জন্য তারা বিভিন্ন আবোলতাবোল কথা বলছে। তিনি আরও বলেন, দেশে গণতন্ত্র ও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো যতগুলো কালা কানুন আছে, সেসব থেকে মানুষ মুক্তি পাবে।

আজ সোমবার দুপুরে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক প্রতিবাদ সভায় খন্দকার মোশাররফ এ কথা বলেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু স্মৃতি সংসদ এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।

আওয়ামী লীগকে ছাড়া জাতীয় ঐক্য কীভাবে হবে? দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের সমালোচনা করেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘এটা হাস্যকর। তিনি (ওবায়দুল কাদের) যদি হাস্যকরভাবে বলেও থাকেন, এরপরও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে বলতে চাই, আপনারা যে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছেন, হত্যা, গুম, নির্যাতন ও অত্যাচার করছেন, এর জন্য আগে আপনারা জনগণের কাছে ক্ষমা চান।’

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘জনগণ যে ন্যূনতম পাঁচটি দাবিতে একমত হয়েছে—তফসিল ঘোষণার আগে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, ইভিএম  বাতিল এবং নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে- ক্ষমা চেয়ে এই দাবিগুলোর সঙ্গে যদি একমত হয়ে ঘোষণা দেন, তাহলে আমরা আপনাদের জাতীয় ঐক্যে আহ্বান জানাব। কারণ এই দাবিগুলোর সঙ্গে সবাই একমত হয়েছে। এই দাবিগুলো যদি আপনারা মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেন, তাহলে আমরা আপনাদের জাতীয় ঐক্যে স্বাগত জনাব। কিন্তু এটা পারবেন না। এটা না পারলে জাতীয় ঐক্যে নেওয়াও সম্ভব না।’

সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন এ দেশে আর হবে না এবং হতে দেওয়া হবে না। এই ভয়ে সরকার বিএনপিকে কোণঠাসা করতে চায়। যাঁরা নির্বাচনে ভূমিকা রাখবেন, তাঁদের কারাগারে রাখতে চাচ্ছে। সে কারণে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখা হয়েছে। আমাদেরও যেকোনো সময় নিয়ে যেতে পারে। এই একটি পরিকল্পনা নিয়ে সরকার এগোচ্ছে।’

নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে খন্দকার মোশাররফ দাবি করেন, ‘১ সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ১৩ হাজার ১৩০ জনের বিরুদ্ধে ৩ হাজার ৬৩৬টি মামলা দেওয়া হয়েছে। এসবের কারণে দেশ একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন।