পালাতে গিয়ে পুলিশকে ছুরিকাঘাত, জবাবে গুলি

ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডে এক নারী রিকশায় করে বাড়ি ফিরছিলেন। সময় গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১২টা। হঠাৎ মোটরসাইকেলে করে দুই যুবক এসে রিকশাটিকে থামান। চোখের পলকে তাঁরা ওই নারীর ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যান। কিন্তু এলাকার টহল পুলিশের দল ঘটনাটি দেখতে পায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই দৃশ্য দেখার পর পুলিশের সংশ্লিষ্ট টহল দল আশপাশে থাকা কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের কাছে ওয়্যারলেসে বার্তা পাঠিয়ে দেয়। এরপর অন্যান্য টহল পুলিশ দল মিলে আশপাশের এলাকায় ব্যারিকেড দেয়। পরে আবাহনী ক্লাব মাঠের সামনে ওই দুই মোটরসাইকেল আরোহীকে পাওয়া যায়। তাঁরা পুলিশ দেখে ত্বরিত মোড় ঘুরে ভিন্ন দিকে যেতে চায়। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে মোটরসাইকেল পিছলে পড়ে। এ সময় এক ছিনতাইকারী পালাতে সক্ষম হলেও অপর ব্যক্তি আটকা পড়েন। তবে ওই ব্যক্তি সহজে ধরা না দিতে ছুরি নিয়ে পুলিশের ওপর চড়াও হন। পুলিশ বলছে, এ সময় তারা বাধ্য হয়ে ওই ব্যক্তির পায়ে গুলি করে। আটক এই ব্যক্তির নাম মো. স্বপন (৪৭)। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ধানমন্ডি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) পারভেজ ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আটক স্বপন ছুরি বের করে সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মহসীনসহ কয়েকজনকে আঘাত করেন। তখন আত্মরক্ষার জন্য আমি রিভলবার দিয়ে দুই রাউন্ড গুলি করি। দুটি গুলি স্বপনের দুই পায়ের হাঁটুর ওপরের অংশে লাগে। আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। আহত পুলিশ সদস্যরা রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।’

পারভেজ ইসলাম আরও বলেন, স্বপন একজন পেশাদার ছিনতাইকারী। মোটরসাইকেলসহ তাঁর কাছ থেকে ১৩ ইঞ্চি লম্বা একটি স্টিলের ছোরা, ছিনতাই করা তিনটি মোবাইল ফোন ও একটি মেরুন রঙের ভ্যানিটি ব্যাগ জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে । পলাতক ছিনতাইকারীকে ধরতে অভিযান চলছে।

এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গেছে, আহত স্বপনের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায়। তিনি আদাবর শেখেরটেক এলাকায় বসবাস করেন।