প্রতিবন্ধী কোটা বাদ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই

‘প্রতিবন্ধিতা উত্তরণে আমরা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। ছবি: সংগৃহীত
‘প্রতিবন্ধিতা উত্তরণে আমরা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। ছবি: সংগৃহীত

সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩ অনুযায়ী যেকোনো সরকারি নিয়োগে প্রতিবন্ধী কোটা রাখার সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। যদিও বর্তমানের কোটা সংশোধন কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে শতভাগ কোটা বিলুপ্তির কথা সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু এই কোটা পুরোপুরি বিলুপ্তি করতে বিদ্যমান আইন পরিবর্তন করতে হবে। এই আইন বলবৎ থাকা অবস্থায় প্রতিবন্ধী কোটা বাদ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ইস্কাটনের সুইড বাংলাদেশ কনভেনশন সেন্টারে ‘প্রতিবন্ধিতা উত্তরণে আমরা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।

সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য শিক্ষা, চলাফেরা, কর্মসংস্থান, চাকরিসহ বিশেষ সুবিধা দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের দেশে সুস্পষ্ট আইন রয়েছে। সংবিধানেও পরিষ্কার করে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সুরক্ষার কথা বলা আছে। এখানে আমি, আপনি বা অন্য কেউই কোনো ধরনের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে পারি না।’

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কোটা সংরক্ষণের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে জোর সুপারিশ করা হয়েছে উল্লেখ করে সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, ১৯ সেপ্টেম্বর সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাত প্রতিবন্ধী কোটা বহাল রাখার দাবি জানালে সেখানে কমিটি প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইনের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয় এবং সর্বসম্মতিক্রমে প্রতিবন্ধী কোটা বহাল রাখার সুপারিশ করে।

জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের কর্মকর্তা কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি রাজাউল কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য মীর শওকত আলী বাদশা, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদা মীন আরা, সুইড বাংলাদেশের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ডেসটকোর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সাধারণ সম্পাদক মো. আলী হোসেন।