বাতিল নয়, আবারও কোটা সংস্কার দাবি শিক্ষার্থীদের

আলোকচিত্রী শহিদুল আলম ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাইদুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তাঁরা কোটা বাতিল নয়, নিজেদের ঘোষিত পাঁচ দফার ভিত্তিতে আবারও কোটা সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে আন্দোলনকারীরা এসব দাবি জানান। মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকও সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন।

সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে যুক্ত বিভিন্নজনকে হয়রানি করা হচ্ছে৷ যেসব শিক্ষক ছাত্রদের যৌক্তিক দাবির সঙ্গে ছিলেন, তাঁদেরও নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। তিনি আলোকচিত্রী শহিদুল আলম ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাইদুল ইসলামের মুক্তি দাবি করেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কার করে ৫৬ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা। কোটায় কোনো বিশেষ ধরনের নিয়োগ না দেওয়া। চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহারের সুযোগ না দেওয়া, সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সবার জন্য একই ধরনের সুযোগ ও বয়সসীমা নির্ধারণ রাখা। কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধায় নিয়োগ দেওয়া।

মানববন্ধনে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউল্লাহ দাবি করেন, ‘কোটা বাতিলের সুপারিশ সরকারের এক নতুন চক্রান্ত আমরা পাঁচ দফার ভিত্তিতে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার চাই৷’

মন্ত্রিসভার বৈঠকে কোটা বাতিলের যে সুপারিশ উঠতে যাচ্ছে, তার দিকে ছাত্রসমাজ তাকিয়ে আছে বলে মানববন্ধনে জানান পরিষদের আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে যাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের অনেকে হলছাড়া হয়েছেন বলে দাবি করেন অপর যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেন। যুগ্ম আহ্বায়কদের মধ্যে আরেকজন রুকসানা রূপা বলেন, ‘আমরা কোটা বাতিল চাই না, সংস্কার চাই৷ কেউ কেউ একদিকে কোটা বাতিলের কথা বলছেন, আবার বিশেষ নিয়োগের কথা বলছেন, এটা কেমন কথা।’

মানববন্ধনে সংহতি জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুশাদ ফরিদী ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক নাসির উদ্দিন।