পুলিশকে আঘাত করে গুলিবিদ্ধ ছিনতাইকারী

একেবারে দিনদুপুরের ঘটনা। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে রিকশায় চড়ে খিলগাঁও থেকে মালিবাগের দিকে যাচ্ছিলেন এক তরুণী (২৫)। ঠিক তখন মোটরসাইকেলে করে রফিকুল ইসলাম (২৯) ও আল আমিন (১৯) নামের দুই যুবক এসে রিকশাটি থামিয়ে ফেলেন। ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই তরুণীর কাছ থেকে মোবাইল, টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এ সময় পাশ দিয়ে আরেকটি মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল সারওয়ার।

এসআই সোহেল সারওয়ার খিলগাঁও পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তিনি জানান, খিলগাঁও আনসার সদর দপ্তর থেকে কিছু দূরে ওই ঘটনা ঘটে। সোহেল সারওয়ার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ছিনতাইকারীদের সামনে গেলে উল্টো রফিক নামের এক ছিনতাইকারী আমাকে চ্যালেঞ্জ করে। রিকশারোহী তরুণীকে তাঁর চাচাতো বোন বলে দাবি করে। এ সময় ওই মেয়েটি চিৎকার করলে আমি রফিককে ধরে ফেলি। কিন্তু ধ্বস্তাধ্বস্তির সময় রফিক আমার ডান পায়ে ভারী কিছু জিনিস দিয়ে আঘাত করে। এরপর আমার আর কিছু মনে নেই। জ্ঞান ফিরলে দেখি আমি খিদমাহ হাসপাতালে ভর্তি। তবে পুলিশের আরেকটি দল ঘটনাস্থলে এসে রফিকের বাম পায়ে গুলি করে ধরে ফেলে।’

থানা সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের সংশ্লিষ্ট দলটি রফিকের বাম হাঁটুতে গুলি করে এবং তাঁর সঙ্গে থাকা আল আমিনকে ধরে ফেলে। গুলিবিদ্ধ রফিককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর আল আমিনকে খিলগাঁও থানায় নেওয়া হয়। ছিনতাইকারীর আঘাতে সোহেলের ডান পা মচকে গেছে বলে জানা যায়।

থানা সূত্র আরও জানায়, রিকশারোহী তরুণীর কাছে থেকে ওই দুজন সোনার এক জোড়া কানের দুল, একটি নাকফুল, একটি আংটি, একটি মোবাইল ও দুই হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। আটক দুই ছিনতাইকারীর কাছ থেকে এসব জিনিস উদ্ধারের পাশাপাশি একটি ছুরিও জব্দ করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।