আশুলিয়ায় নারী বাউল শিল্পী ধর্ষণের শিকার

ঢাকার আশুলিয়ায় এক নারী বাউল শিল্পী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার মামলা হয়েছে আশুলিয়া থানায়। ধর্ষণে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আশুলিয়া থানা-পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ওই নারী বাউল শিল্পীর বাড়ি ঢাকার ধামরাইয়ে। তিনি থাকেন আশুলিয়ার পলাশবাড়ি এলাকায়। গত বুধবার পাওনা টাকার জন্য তিনি গাজীরচট এলাকার অপর এক বাউল শিল্পীর ভাড়া বাসায় যান। সেখানে যাওয়ার পরপরই ওই বাউল শিল্পী তাঁকে বসতে দিয়ে পানি আনতে যান। তখন এক শিশু এসে তাঁকে বাড়ির মালিকের ছেলে সুজনের ঘরে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে সুজন তাঁকে ধর্ষণ করেন। এরপর বাদশা নামে অপর এক ব্যক্তি ওই ঘরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করেন।

ওই নারী বাউল শিল্পী অভিযোগ করেন, পাওনা টাকা দেওয়ার জন্য ওই বাউল শিল্পী তাঁকে ডেকেছেন ভেবে তিনি সুজনের ঘরে যান। ওই ঘরে যাওয়ার পরপরই সুজন দরজা বন্ধ করে নানা ভয়ভীতির মুখে তাঁকে ধর্ষণ করেন। এরপর তাঁকে ওই ঘরে আটকে রেখে সুজন বরে হয়ে যান। কিছুক্ষণ পর বাদশা নামে এক ব্যক্তি ঘরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করেন এবং চর-থাপ্পড় মেরে তাড়িয়ে দেন।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাবেদ মাসুদ বলেন, ওই নারী বাউল মামলা করেছেন সুজন ও বাদশার বিরুদ্ধে। তাৎক্ষণিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর বাদশা পলাতক রয়েছেন। সুজনকে ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে সোপর্দ করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তাঁর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

জাবেদ মাসুদ প্রথম আলোকে বলেন, ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই নারীকে মেডিকেল টেস্ট করানোর জন্য ঢাকা মেডিকেল (ঢামেক) কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।