নরসিংদীতে ঘিরে রাখা একটি বাড়িতে গুলির শব্দ

শেখের চরের একটি পাঁচতলা ভবনে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে অভিযান চালাচ্ছেন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ছবি: প্রথম আলো
শেখের চরের একটি পাঁচতলা ভবনে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে অভিযান চালাচ্ছেন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ছবি: প্রথম আলো

নরসিংদীতে সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানা হিসেবে ঘিরে রাখা শেখের চরের একটি পাঁচতলা বাড়ি থেকে দুটি গুলির শব্দ শোনা গেছে। বাড়িটি ঘিরে রেখেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। বাড়িটির ৩০০ গজের মধ্যে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ওই বাড়িতে দুটি অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের ঢুকতে দেখা গেছে।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘নরসিংদীতে ঘিরে রাখা সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের সব রকম প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। তবে সেখানে কী পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র আছে, তা এখনো বুঝে উঠতে পারছি না। শুরুতে আমরা জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দেব। আত্মসমর্পণ না করলে অ্যাকশনে যাব।’

নরসিংদীতে গতকাল সোমবার রাত সাড়ে আটটা থেকে জঙ্গিদের আস্তানা সন্দেহে পৃথক দুটি বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও পুলিশ সদর দপ্তরের এলআইসি শাখা যৌথভাবে ওই অভিযান চালাচ্ছে। এতে সহযোগিতা করছে নরসিংদীর পুলিশ প্রশাসন।

কর্মকর্তারা জানান, দীর্ঘ গোয়েন্দা অনুসন্ধানের পর নরসিংদীর মাধবদী ও শেখের চর এলাকার দুটি বাড়ি জঙ্গি আস্তানা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এরপর গতকাল সন্ধ্যায় বাইরে থেকে তালা দিয়ে বাড়ি ঘিরে অবস্থান নেয় পুলিশ। দুটি বাড়ির ভেতরে কমপক্ষে পাঁচজনের থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ভগীরথপুরের শেখের চর এলাকার মাজার বাসস্ট্যান্ডের চেয়ারম্যানবাড়ি রোডের বাড়িটা পাঁচতলা। সেখানে পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাটে জঙ্গিরা অবস্থান নিয়েছে। বিল্লাল মিয়ার বাড়ি বলে পরিচিত এটি।

গতকাল দিবাগত রাত তিনটার দিকে বাড়ি দুটির সব সদস্যকে বাইরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দুটি বাড়ির গ্যাস ও বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

পঞ্চম তলা ভবনের দ্বিতীয় তলার বাসিন্দা বাদল দেবনাথ বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ বাড়ি ঘিরে ফেলেছে বলে জানতে পারেন। এতে তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। রাত তিনটার দিকে তাঁদের বাড়ি থেকে বের করে আনেন পুলিশ সদস্যরা। পাঁচতলার একটি ফ্ল্যাট কিছুদিন আগে বিবাহিত পরিচয়ে এক দম্পতি ভাড়া নিয়েছেন বলে শুনেছেন।

তবে সেখানে কারা অবস্থান করছেন, এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে পুলিশের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।