বাস থামিয়ে পোশাককর্মীকে ধর্ষণের চেষ্টা

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় চলন্ত বাস থামিয়ে এক পোশাককর্মীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে । গত মঙ্গলবার রাতে মানিকগঞ্জ-সাটুরিয়া সড়কের ধুল্লা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বাসের চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়া বাসচালকের নাম জামাল উদ্দিন (৩৫)। তাঁর বাড়ি সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি চরপাড়া গ্রামে। তিনি টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি ডাকাতি মামলার আসামি বলে পুলিশ জানিয়েছে।

সাটুরিয়া থানার পুলিশ জানায়, মেয়েটি ঢাকার ধামরাইয়ের বাথুলি এলাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। তাঁর বাড়ি সাটুরিয়ায়। প্রতিদিন সকালে কারখানার ভাড়া করা বাসে বাড়ি থেকে কর্মস্থলে যান। ছুটির পর রাতে ওই বাসেই বাড়িতে ফেরেন। মঙ্গলবার রাতে বাড়িতে ফেরার পথে বাসে একা পেয়ে চালক জামাল উদ্দিন তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তিনি রক্ষা পান। পরে বাসচালককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। বুধবার সকালে পোশাককর্মী বাসচালকের বিরুদ্ধে সাটুরিয়া থানায় মামলা করেছেন।

ওই নারী প্রথম আলোকে বলেন, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে তাঁদের কারখানা ছুটি হয়। এরপর অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে তিনি কারখানার বাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন। বাসটি রাত সাড়ে ১০টার দিকে মানিকগঞ্জ-সাটুরিয়া সড়কের গোলড়া হয়ে ধুল্লা বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছানোর পরে তিনি ছাড়া সবাই নেমে যান। ধুল্লার পরের স্ট্যান্ড সাটুরিয়ায় তাঁর নামার কথা ছিল। ধুল্লা স্ট্যান্ড পার হয়ে কয়েক শ গজ যাওয়ার পরই চালক জামাল উদ্দিন বাসটি থামিয়ে দেন। তখন ওই বাসে তিনি আর চালক ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। বাস থামানোর পর আলো নিভিয়ে চালক তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করতে থাকেন। হাজারো অনুনয়-বিনয় করেও তাঁর মন গলাতে না পেরে তিনি কাঁদতে থাকেন। তাতে কাজ না হওয়ায় তিনি চিৎকার করতে থাকেন।

স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, মেয়েটির চিৎকার শুনে তাঁরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। এরপর মেয়েটির কাছে ঘটনার বর্ণনা শুনে তাঁরা ওই বাসচালককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।

সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর থানায় মামলা হয়েছে। অধিকতর তদন্ত করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।