ড. কামালের সক্ষমতা দেশবাসী জানে: তোফায়েল

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। ঢাকা, ২২ অক্টোবর। ছবি: পিআইডি
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। ঢাকা, ২২ অক্টোবর। ছবি: পিআইডি

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক দলকে বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ নির্বাচন করতে চায় না। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কামাল হোসেনের সক্ষমতা সম্পর্কে দেশবাসী জানেন।

আজ সোমবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘দেশের সংবিধান মোতাবেক আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করবে। বর্তমান সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকবে। এ সময় সরকার শুধু রুটিন ওয়ার্ক করবে। কোনো দলকে বাদ দিয়ে আমরা নির্বাচন করতে চাই না।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। ২০১৪ সালে জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করে, নির্বাচন প্রতিহত করার নামে জ্বালাও–পোড়াও করে মানুষ হত্যা করেছে। অগ্নিসন্ত্রাস করে দেশব্যাপী মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি। এটি তাদের সঠিক পথ ছিল না, এখন তা বুঝতে পেরেছে। সে নির্বাচনে অংশ না নেওয়া ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। বিএনপি আবারও সে ভুল করবে বলে আমার মনে হয় না।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্ব মেনে নিয়ে বিএনপি নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। কামাল হোসেনের সক্ষমতা সম্পর্কে দেশবাসী জানেন। বিএনপি খুনিদের দল হিসেবে প্রমাণিত। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তা প্রমাণ হয়েছে। তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ড. কামাল হোসেন সফল হতে পারবেন না।
সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশবাসী ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে ঘৃণা করেন। তিনি রাজনৈতিকভাবে চরিত্রহীন। তিনি বঙ্গবন্ধুর খুনি মোশতাক ও ফ্রিডম পার্টির সঙ্গে রাজনীতি করেছেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বড় ব্যবসায়িক অংশীদার। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে এখন তিন শর বেশি গ্রিন ফ্যাক্টরি রয়েছে।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেন, ‘বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাশা করে। বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণে সরকার আন্তরিক বলে বিশ্বাস করি। সব দলের অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সবার প্রত্যাশা। দেশের গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতে সব রাজনৈতিক দল আন্তরিক হবে বলে আশা করি।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। তৈরি পোশাকশিল্পে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধন করেছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক আমদানিকারক হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এক নম্বরে। এ শিল্পের নিরাপদ কাজের পরিবেশ ও শ্রম অধিকারে অনেক উন্নতি হয়েছে।

এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব শুভাশীষ বসু ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুন্সী সফিউল হকসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।