যুক্তির লড়াইয়ে শুরু পুষ্টি-প্রথম আলো বিতর্ক উৎসব

বিতর্ক উৎসবে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অতিথিরা। সোমবার কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে। ছবি: প্রথম আলো
বিতর্ক উৎসবে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অতিথিরা। সোমবার কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে। ছবি: প্রথম আলো

‘পুষ্টি-প্রথম আলো স্কুল বিতর্ক উৎসব-২০১৮ ’-এর প্রথম দিন ছিল সোমবার। প্রথম দিনে চুয়াডাঙ্গা, কিশোরগঞ্জ, কক্সবাজার ও জামালপুরে উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৪৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। বিতর্ক ছাড়াও ছিল কুইজ প্রতিযোগিতা।

প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
সকালে চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা বিদ্যালয় মিলনায়তনে উৎসবের উদ্বোধন করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্মৃতিকণা বিশ্বাস। জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন পুষ্টির বিপণন ব্যবস্থাপক হাবিবুর রহমান। চুয়াডাঙ্গার ৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই উৎসবে অংশ নেয়।

বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চুয়াডাঙ্গা ভি জে সরকারি উচ্চবিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন এবং ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা উচ্চবিদ্যালয় রানারআপ হয়েছে। এ ছাড়া ভি জে সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র মাহমুদ রেজা সেরা বিতার্কিক নির্বাচিত হয়। বিতর্ক ছাড়াও কুইজ প্রতিযোগিতায় নবম-দশম শ্রেণির ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে আনজুম ইসলাম, দ্বিতীয় হয়েছে শাহরিয়ার হোসেন ও তৃতীয় হয়েছে নারায়ণ বাগলা। কুইজ প্রতিযোগিতার ষষ্ঠ-অষ্টম শ্রেণির ক্যাটাগরিতে তাসফিয়া তাবাসসুম প্রথম, মাহমুদ আল আরাফাত দ্বিতীয় এবং লামিয়া আক্তার তৃতীয় হয়েছে।

সকালে প্রথম আলো বন্ধুসভার বন্ধুদের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে কিশোরগঞ্জের ভৈরব এমপি পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে উৎসব শুরু হয়। বিতর্ক উৎসবে নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জ জেলার ১১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন ভৈরবের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত সাদমীন। বক্তব্য দেন ভৈরব এমপি পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম এ মহিত, পুষ্টির জ্যেষ্ঠ বিক্রয় ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ রাশেদ চৌধুরী প্রমুখ।

বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় নরসিংদী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। রানারআপ হয় সাটিরপাড়া কে কে ইনস্টিটিউশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ। শ্রেষ্ঠ বক্তা হয় বিজয়ী দলের নাহিন আনজুম এশা।

উৎসবের শেষে স্টেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ফিরোজ চৌধুরী ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক উমর ফারুক বিজয়ী ও রানারআপ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের হাতে ট্রফি তুলে দেন।

কক্সবাজারের ১৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিতার্কিকেরা অংশ নেন প্রতিযোগিতায়। কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মিলনায়তনে হয় এই উৎসব। এর উদ্বোধন করেন কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম ফজলুল করিম চৌধুরী। চ্যাম্পিয়ন হয় কক্সবাজার পৌর প্রিপারেটরি উচ্চবিদ্যালয়। রানারআপ হয়েছে রামু ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কক্সবাজার বন্ধুসভার সভাপতি ইব্রাহিম খলিল। উদ্বোধনী পর্বে বক্তব্য দেন প্রথম আলো যুব উন্নয়ন কর্মসূচির সমন্বয়ক মুনির হাসান, কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নাজিম উদ্দিন, টি কে গ্রুপের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক আরিফুজ্জামান প্রমুখ।

জামালপুর জিলা স্কুলে বিতর্ক উৎসবের উদ্বোধন করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছামছুন নাহার মাকছুদা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কবীর উদ্দিন। উৎসবে জামালপুর-শেরপুর অঞ্চলের ৯টি স্কুল অংশ নেয়। বিতর্কে চ্যাম্পিয়ন হয় জামালপুরের সরকারি জিলা স্কুল। রানারআপ হয় জামালপুরের হাসিল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হয় চ্যাম্পিয়ন দলের নাছিফুল ইসলাম। এ ছাড়া বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা কুইজে অংশ নিয়ে পুরস্কার জিতে নেয়।

মঙ্গলবার যেসব জেলায় বিতর্ক উৎসব
চাঁদপুর, বাহ্মণবাড়িয়া ও কুষ্টিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে পুষ্টি-প্রথম আলো স্কুল বিতর্ক উৎসব-২০১৮। চাঁদপুরে চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুরের স্কুল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জের স্কুল এবং কুষ্টিয়ায় কুষ্টিয়া ও মেহেরপুরের স্কুলগুলো জাতীয় স্কুল বিতর্ক উৎসবে অংশ নেবে।

দেশের ৪০টি অঞ্চলে হবে বিতর্ক উৎসব। প্রতি জেলায় চ্যাম্পিয়ন বিতর্ক দল ঢাকায় জাতীয় স্কুল বিতর্ক উৎসবে অংশ নেবে। আঞ্চলিক পর্ব শেষে নভেম্বরে রাজধানী ঢাকায় আয়োজন হবে চূড়ান্ত পর্বের। বিতর্ক উৎসবকে সামনে রেখে ঢাকায় কর্মশালা আয়োজন করা হয়।