ট্রেন এলেই দাঁড়িয়ে যান হাত উঁচিয়ে!

>ট্রেন এসে গেছে। যানবাহন যাতে রেললাইনে উঠে যেতে না পারে, তাই প্রতিবন্ধক তৈরি করতে দুই হাত তুলে দাঁড়িয়ে যান গ্রাম পুলিশের দুই সদস্য। রাজধানীর শ্যামপুরের বরইতলা রেলক্রসিংয়ের এই চিত্র বহুদিনের। বরইতলা রেলক্রসিংয়ের এক পাশে প্রতিবন্ধক থাকলেও অন্য পাশে কিছুই নেই। লাইনম্যানের এই দায়িত্বে থাকা শাহ আলম জানান, প্রায় আট বছর তিনি এ কাজ করছেন। ট্রেন এলেই দুই হাত তুলে দাঁড়ান তাঁরা। এ কাজের জন্য তাঁদের দুজনকে স্থানীয় চেয়ারম্যানের কার্যালয় থেকে নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের বেতনও সেখান থেকে হয়। নেই রেলওয়ে বিভাগের কোনো নজরদারি। শাহ আলম ও রামু সরকার প্রতিদিন দুই পালায় ১২ ঘণ্টা করে রেলক্রসিংয়ে দায়িত্ব পালন করেন। গ্রাম পুলিশের এই দুই সদস্য জানান, বিষয়টি অনেকবার পত্রিকায় এলেও রেল কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি। তৈরি হয়নি প্রতিবন্ধক। লাইনম্যান নিয়োগের কোনো পদক্ষেপও নেওয়া হয়নি। ছবিগুলো গত শনিবার তোলা।
হাত উঁচিয়ে প্রতিবন্ধক তৈরি করেছেন রামু সরকার।
হাত উঁচিয়ে প্রতিবন্ধক তৈরি করেছেন রামু সরকার।
দায়িত্ব পালন করছেন শাহ আলম।
দায়িত্ব পালন করছেন শাহ আলম।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা এভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা এভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
সড়কে উন্নয়নমূলক কাজের জন্য কিছুদিন আগে ভেঙে দেওয়া হয়েছে তাঁদের বসার ছাউনিটি। এখন তাঁরা এভাবেই খোলা আকাশের নিচে বসে থাকেন।
সড়কে উন্নয়নমূলক কাজের জন্য কিছুদিন আগে ভেঙে দেওয়া হয়েছে তাঁদের বসার ছাউনিটি। এখন তাঁরা এভাবেই খোলা আকাশের নিচে বসে থাকেন।
বরইতলা রেলক্রসিংয়ে প্রতিবন্ধক তৈরি কিংবা লাইনম্যান নিয়োগের কোনো পদক্ষেপ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। এক বছর আগে এই এলাকায় স্টেশন তৈরি হয়েছে। সেখানে গিয়েও কোনো কর্মকর্তাকে দেখা যায়নি। টিকিট কাটার ঘরটিও ছিল তালাবদ্ধ।
বরইতলা রেলক্রসিংয়ে প্রতিবন্ধক তৈরি কিংবা লাইনম্যান নিয়োগের কোনো পদক্ষেপ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। এক বছর আগে এই এলাকায় স্টেশন তৈরি হয়েছে। সেখানে গিয়েও কোনো কর্মকর্তাকে দেখা যায়নি। টিকিট কাটার ঘরটিও ছিল তালাবদ্ধ।