সুনামগঞ্জে দুই জোটেই প্রার্থী জট

সুনামগঞ্জ জেলায় নির্বাচনী আসন আছে পাঁচটি। এই পাঁচটি আসনের মধ্যে চারটির বর্তমান সাংসদ ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের। এর বাইরে সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ এরশাদের জাতীয় পার্টির। তিনি মহাজোটর প্রার্থী হিসেবে গত নির্বাচনে সাংসদ হয়েছেন। এবারের নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিটি আসনেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী মাঠে আছেন।

আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তৎপরতার পাশাপাশি মনোনয়নকেন্দ্রিক দ্বন্দ্বও বেশি। সে তুলনায় মাঠে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তৎপরতা কম।

মোয়াজ্জেম হোসেন (আ.লীগ), সৈয়দ রফিকুল হক (আ.লীগ), রফিকুল ইসলাম চৌধুরী (বিএনপি), নজির হোসেন (বিএনপি)
মোয়াজ্জেম হোসেন (আ.লীগ), সৈয়দ রফিকুল হক (আ.লীগ), রফিকুল ইসলাম চৌধুরী (বিএনপি), নজির হোসেন (বিএনপি)


সুনামগঞ্জ-১
এই আসনটি তাহিরপুর, জামালগঞ্জ ও ধরমপাশা উপজেলা মিলে গঠিত। এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩০হাজার ৫৫জন। এখানে ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হন মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির রফিকুল ইসলাম চৌধুরী। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এখানে আবার সাংসদ নির্বাচিত হন মোয়াজ্জেম হোসেন।
এখানে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে বর্তমান সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন ছাড়া অন্যরা হলেন সাবেক সাংসদ সৈয়দ রফিকুল হক সুহেল, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক শামীমা শাহরিয়ার, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক রনজিৎ সরকার, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী সহসভাপতি রেজাউল করিম শামীম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হায়দার চৌধুরী লিটন, সাবেক যুগ্ম সচিব বিনয় ভূষণ তালুকদার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আক্তারুজ্জামান সেলিম, ধরমপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি রফিকুল হাসান চৌধুরী, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম তালুকদার, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক খন্দকার মঞ্জুর আহমদ, প্রবাসী শক্তিপদ রায়।
এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে আলোচনায় আছেন সাবেক সাংসদ নজির হোসেন। এ ছাড়া অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনিসুল হক, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুল, জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও ধরমপাশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব খান, যুক্তরাজ্যে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল হক আফিন্দি লিটন। এই আসনে কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন দলের জেলা কমিটির সভাপতি চিত্তরঞ্জন তালুকদার।

জয়া সেন গুপ্তা (আ.লীগ), নাছির উদ্দিন চৌধুরী (বিএনপি), শামসুল ইসলাম (আ.লীগ)
জয়া সেন গুপ্তা (আ.লীগ), নাছির উদ্দিন চৌধুরী (বিএনপি), শামসুল ইসলাম (আ.লীগ)


সুনামগঞ্জ-২
এই আসনটি জেলার দিরাই ও শাল্লা উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। ২০০৮ সালের নির্বাচনে সাংসদ নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির নাছির উদ্দিন চৌধুরী। ২০১৪ সালের নির্বাচনেও সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাংসদ হন। সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের মৃত্যুর পর ২০১৭ বছরের ২৯মার্চ এই আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সাংসদ নির্বাচিত হন তাঁর স্ত্রী জয়া সেন গুপ্তা।
এই আসনে এবার জয়া সেন গুপ্তা ছাড়া আওয়ামী লীগের মনোনয়প্রত্যাশীরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অবনি মোহন দাস, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. শামসুল ইসলাম, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অনুকূল তালুকদার ডাল্টন, সিলেট এমসি কলেজছাত্র সংসদের সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) যুক্তরাজ্যপ্রবাসী ইকবাল হোসাইন, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সদস্য মো. শামছুল হক চৌধুরী, লেখক-সাংবাদিক দীপক চৌধুরী এবং উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ছায়াদ আলী মাহবুব হোসেন। এখানে দিরাই উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামও মহাজোটের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে মাঠে আছেন।
এই আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ঘুরেফিরে সাবেক সাংসদ নাছির উদ্দিন চৌধুরীর নামটিই আলোচিত হচ্ছে। তবে যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাহির রায়হান চৌধুরী পাভেল, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব মাওলানা শোয়াইব আহমদ বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে।
এই আসনে কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন দিরাই ডিগ্রি কলেজছাত্র সংসদের সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) নিরঞ্জন দাস খোকন। গণতন্ত্রী পার্টির প্রার্থী হিসেবে দলের সিলেট জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গুলজার আহমদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

এম এ মান্নান (আ.লীগ), আজিজুস সামাদ আজাদ (আ.লীগ), কয়ছর আহমদ (বিএনপি), মালেক খান (বিএনপি)
এম এ মান্নান (আ.লীগ), আজিজুস সামাদ আজাদ (আ.লীগ), কয়ছর আহমদ (বিএনপি), মালেক খান (বিএনপি)


সুনামগঞ্জ-৩
এই আসনটি জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও জগন্নাথপুর উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সাংসদ নির্বাচিত হন এম এ মান্নান। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের শাহীনুর পাশা চৌধুরী। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আবার সাংসদ নির্বাচিত হন এম এ মান্নান। এই নির্বাচনে তাঁর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা প্রয়াত আবদুস সামাদ আজাদের ছেলে আজিজুস সামাদ আজাদ (ডন)। এম এ মান্নান বর্তমান সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী।
এই আসনে তিনটি বিগত তিনটি নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের প্রার্থী ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের শাহীনুর পাশা চৌধুরী। তবে এবার বিএনপি থেকে প্রার্থী চান নেতা-কর্মীরা।
এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্যে আছেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, আজিজুস সামাদ আজাদ, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজিদুর রহমান ফারুক, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি লন্ডনপ্রবাসী সৈয়দ আবুল কাশেম, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম, জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের আহবায়ক ইসলাম আলী। এঁদের মধ্যে ঘুরেফিরে এম এ মান্নানের নামটিই আলোচিত হচ্ছে বেশি।
এখানে আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে আছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম. কয়ছর আহমদ, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আলী আহমদ, জেলা বিএনপির বর্তমান সহসভাপতি ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ, আরেক সহসভাপতি আনসার উদ্দিন, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি এম এ মালেক খান।

ফজলুর রহমান মিসবাহ (জাপা), এনামুল কবির ইমন (আ.লীগ), ফজলুল হক আছপিয়া (বিএনপি), দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন (বিএনপি)
ফজলুর রহমান মিসবাহ (জাপা), এনামুল কবির ইমন (আ.লীগ), ফজলুল হক আছপিয়া (বিএনপি), দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন (বিএনপি)


সুনামগঞ্জ-৪
সুনামগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করেন, স্থানীয় রাজনীতিতে জেলা সদরের নির্বাচনী আসনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু জোটবদ্ধ নির্বাচন হওয়ায় গত দুটি নির্বাচনে আসনটি মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। জেলার কেন্দ্র হিসেবে তাই আগামী নির্বাচনে এখানে দলের প্রার্থী চান তাঁরা। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। তাই এবারও আসনটি ধরে রাখতে চায় জাতীয় পার্টি। এখানে বিএনপির পাঁচজন মনোনয়নপ্রত্যাশী আছেন।
সুনামগঞ্জ-৪ আসনটি সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা এবং একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হন মমতাজ ইকবাল (জাতীয় পার্টি)। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মোহাম্মদ ফজলুল হক আছপিয়া (বিএনপি)। সাংসদ মমতাজ ইকবাল ২০০৯ সালের ১৭এপ্রিল মারা গেলে উপনির্বাচনে সাংসদ হন মতিউর রহমান। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এনামুল কবির ইমন এখানে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে দীর্ঘদিন থেকেই মাঠে আছেন। আর ২০১৪ সালের নির্বাচনে এখানে দলের মনোনয়ন পেয়েছিলেন এনামুল কবির ইমন। পরে আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। তাই মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন এনামুল কবির। সম্প্রতি জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা (মুকুট) এখানে দলের মনোনয়ন চাইবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এখানে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে মাঠে আছেন দলের জেলা কমিটির সহসভাপতি খায়রুল কবির রুমেন।
এখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে দলের চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ নিজে সুনামগঞ্জে এসে বর্তমান সাংসদ পীর ফজলুর রহমান মিসবাহর নাম ঘোষণা করে গেছে। এখানে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন চেয়েছিলেন প্রয়াত মমতাজ ইকবালের ছেলে ইনান চৌধুরী। কিন্তু এরশাদের ঘোষণার পর তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন।
এই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরাদের মধ্যে আলোচনায় আছেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও এই আসনের সাবেক সাংসদ মো. ফজলুল হক আছপিয়া, জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম। এর বাইরে জেলা কমিটির সহসভাপতি নাদীর আহমদ, জেলা যুবদলের সভাপতি আবুল মনসুর মো. শওকত মনোনয়ন চাইবেন বলে জানিয়েছেন।

মুহিবুর রহমান মানিক (আ.লীগ), শামীম আহমেদ চৌধুরী (আ.লীগ), কলিম উদ্দিন মিলন (বিএনপি), মিজানুর রহমান চৌধুরী (বিএনপি)
মুহিবুর রহমান মানিক (আ.লীগ), শামীম আহমেদ চৌধুরী (আ.লীগ), কলিম উদ্দিন মিলন (বিএনপি), মিজানুর রহমান চৌধুরী (বিএনপি)


সুনামগঞ্জ-৫
এই আসনটি জেলার ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার একটি পৌরসভা ও ২২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।
২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন মুহিবুর রহমান মানিক। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এখানে আবার সাংসদ নির্বাচিত হন মুহিবুর রহমান মানিক।
মুহিবুর রহমান মানিক এখানে এবারও দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী। এখানে এবার দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে মাঠে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য শামীম আহমেদ চৌধুরী, দোয়ারাবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ফরিদ আহমেদ তারেক।
এখানে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে সাবেক সাংসদ ও জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন মিলনের নামটি আলোচিত হচ্ছে বেশি। তবে এবার এখানে বিএনপির মনোনয়ন চান দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী, জেলা বিএনপির সদস্য শিল্পপতি সৈয়দ মুনসিফ আলী। ২০দলীয় জোটের শরিক হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর আবদুস সালাম মাদানী ও খেলাফত মজলিসের মাওলানা শফিক উদ্দিন এখানে মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে।
এই আসনে জাতীয় পার্টির (এরশাদ) মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে মাঠে আছেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও দোয়ারাবাজার উপজেলা শাখার সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম। এখানে ন্যাপের প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন দলের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল ওদুদ।