মুন্সিগঞ্জে ব্যস্ত আ. লীগ, সুযোগের অপেক্ষায় বিএনপি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে মুন্সিগঞ্জ জেলার রাজনীতি ধীরে ধীরে চাঙা হয়ে উঠছে। মুন্সিগঞ্জের তিনটি আসনেই বর্তমানে নির্বাচনী বাতাস বইছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও আগ্রহ বেড়েছে।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, মুন্সিগঞ্জ ১, ২, ৩ আসনের মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৬৩ হাজার ৫৪৮ জন। এতে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৯৭ হাজার ৭৫৬ জন, নারী ভোটার আছে ৫ লাখ ৬৫ হাজার ৭৯২ জন।

নির্বাচনী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপি মাঠে নেই তবে তাঁরা সুযোগের অপেক্ষায় আছে। তিনটি আসনেই আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাশায় মাঠে ঘুরছেন। আওয়ামী লীগের এসব প্রার্থীর প্রচারণা দেখে বোঝা যায়, এই তিনটি আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিপরীতে আওয়ামী লীগই নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছে। অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণায় না থাকলেও নির্বাচন নিয়ে তাঁদের ব্যাপক আগ্রহ আছে। কেন্দ্রীয় নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা। নির্দেশ পেলেই মাঠে নেমে প্রচারণা শুরু করবেন।

বদিউজ্জামান ভূঁইয়া ডাবলু (আ.লীগ), গোলাম সারোয়ার কবীর (আ.লীগ), মমীন আলী (বিএনপি) , সিরাজুল ইসলাম (জাপা)
বদিউজ্জামান ভূঁইয়া ডাবলু (আ.লীগ), গোলাম সারোয়ার কবীর (আ.লীগ), মমীন আলী (বিএনপি) , সিরাজুল ইসলাম (জাপা)



মুন্সিগঞ্জ-১

মুন্সিগঞ্জ-১ (শ্রীনগর-সিরাজদিখান) আসনটি দুই উপজেলার ২৮টি ইউনিয়নের নিয়ে গঠিত। শ্রীনগর উপজেলায় স্থায়ী ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৭৩টি ও সিরাজদিখান উপজেলায় ৭৫টি। এর মধ্যে শ্রীনগরে স্থায়ী ভোটকক্ষের সংখ্যা ৪২৮টি। সিরাজদিখান উপজেলায় স্থায়ী ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪০১টি ও অস্থায়ী ২৪টি। শ্রীনগর উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১৭ হাজার ৯৬৯ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১০ হাজার ৯৬৫ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৭ হাজার ৪ জন।
এ ছাড়া সিরাজদিখান উপজেলায় মোট ভোটার আছে ২ লাখ ২২ হাজার ৩১০ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১৩ হাজার ৬১৩ ও নারী ভোটার ১ লাখ ৮ হাজার ৬৯৭ জন।

এ আসনটি বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে একসময় বেশ পরিচিত হলেও বর্তমানে আওয়ামী লীগের দখলে। আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংসদ সুকুমার রঞ্জন ঘোষ শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় দীর্ঘদিন এলাকায় যেতে পারছেন না। তবে একাদশ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পেতে একাধিক প্রার্থী প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগ করে চলেছেন।

মনোনয়নপ্রত্যাশীরা সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভূঁইয়া ডাবলু, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি গোলাম সারোয়ার কবীর, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি সুব্রত সরকার । অনেক আগে থেকেই তৃণমূলে কাজ করে যাচ্ছেন তাঁরা। এরই মধ্যে তৃণমূলের নেতা–কর্মীদের কাছে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টি করে মনোনয়ন পেতে মরিয়া এসব নেতা। প্রায় প্রতিটি অনুষ্ঠানে তাঁরা আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী হওয়ার কথা বলে নেতা–কর্মীদের উজ্জীবিত করছেন।

মনোনয়ন দৌড়ে এলাকায় সভা–সমাবেশ ও গণসংযোগ করছেন ডা. বদিউজ্জামান ভূঁইয়া ডাবলু। এবার নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে বেশ আঁটঘাট বেঁধেই মাঠে নেমেছেন তিনি। গোলাম সারোয়ার কবির একইভাবে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন।

এদিকে মনোনয়নপ্রত্যাশী নুরুল আলম চৌধুরী সুস্থ-সুন্দর রাজনীতিক হিসেবে এলাকায় বেশ পরিচিত । আওয়ামী লীগের এই নেতার এলাকাবাসীর কাছে গ্রহণযোগ্যতা থাকলেও এলাকায় না আসার কারণে নেতা–কর্মীরা তাঁর কাছ থেকে অনেকটা দূরে সরে যাচ্ছিলেন। তবে কয়েক মাস ধরে তাঁকে আবার এলাকায় দেখা যাচ্ছে গণসংযোগ করতে। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের চিত্র প্রচারপত্রের মাধ্যমে এলাকাবাসীর কাছে বিতরণ করে চলেছেন তিনি। প্রচারণায় আছেন সুব্রত সরকার। তিনিও সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে এলাকাবাসীর মধ্যে প্রচারপত্র বিতরণ করে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

অন্যদিকে এ আসনটি পুনরুদ্ধারে করতে চাইছেন বিএনপির নেতা–কর্মীরা । দলের নেতা–কর্মীদের মধ্যে রয়েছে দ্বন্দ্ব-কোন্দল। এসবের মধ্যেই দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে আছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, শ্রীনগর উপজেলার চেয়ারম্যান মমীন আলী, বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু । তবে তাঁদের কেউকেই এখনো নির্বাচনী প্রচারণায় দেখা যায়নি।

এদিকে দেশের প্রধান দুই দলের বাইরে বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে বর্তমানে এলাকার সঙ্গে তাঁর তেমন যোগাযোগ নেই। তিনি দলীয় মনোনয়ন না নিলে আসনটিতে তাঁর ছেলে মাহী বি. চৌধুরী নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন।

জাতীয় পার্টির হয়ে এই আসনে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ব্যক্তিগত আইনজীবী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ মো. সিরাজুল ইসলাম।

তবে স্থানীয় লোকজন মনে করেন শেষ মুহূর্তে জোট-মহাজোটের কারণে পাল্টে যেতে পারে প্রতীক ও প্রার্থীর নাম।

মাহবুবে আলম (আ.লীগ), মিজানুর রহমান সিনহা (বিএনপি), আজগর মল্লিক (বিএনপি), সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি (আ.লীগ)
মাহবুবে আলম (আ.লীগ), মিজানুর রহমান সিনহা (বিএনপি), আজগর মল্লিক (বিএনপি), সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি (আ.লীগ)



মুন্সিগঞ্জ-২

মুন্সিগঞ্জ-২ লৌহজং-টঙ্গিবাড়ী উপজেলা নিয়ে গঠিত। লৌহজংয়ের ১০টি ইউনিয়ন এবং টঙ্গিবাড়ীর ১৩ টি ইউনিয়নে এ আসনটির নির্বাচনী এলাকা। স্থায়ী ভোটকেন্দ্র লৌহজং উপজেলায় ৪৭টি ও টঙ্গিবাড়ীতে ৭৫টি।
লৌহজংয়ে স্থায়ী ভোট গ্রহণের কক্ষের সংখ্যা ২৬১টি ও অস্থায়ী ১৮টি। এ উপজেলায় মোট ভোটার ১লাখ ৪২ হাজার ৯৪৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭৩ হাজার ৭৫১ জন ও নারী ভোটার ৬৯ হাজার ১৯৫ জন ।
টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় মোট ভোটার ১ লাখ ৬২ হাজার ৮৭৬ জন। মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা ৩২৩টি । স্থায়ী ৩২১টি ও অস্থায়ী ভোট গ্রহণের কক্ষ ২টি। । এতে পুরুষ ভোটার ৮৪ হাজার ১১ জন ও নারী ভোটার ৭৮ হাজার ৮৬৫ জন।

এই আসনের লৌহজংয়ের মাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রকল্প পদ্মা সেতুর গোড়াপত্তন হয়েছে। এ কারণে এ আসনটি অনেক গুরুত্ব বহন করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কাছে। আওয়ামী লীগের হাফ ডজনের বেশি নেতা এ আসন থেকে মনোনয়ন পেতে মরিয়া হয়ে গণসংযোগ করছেন। আসনটি একসময় বিএনপির দুর্গ বলে পরিচিত ছিল। কিন্তু ২০০৮ সালের নির্বাচনে এ আসনটি চলে যায় আওয়ামী লীগের হাতে। সেই থেকে এখানে আওয়ামী লীগের সুদিন। তবে বর্তমানে এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে চলছে নীরব কোন্দল।

এ আসনের বর্তমান এমপি অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি। ১৯৯৬ সালে নারী সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়ে এলাকায় তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি আবারও দলীয় মনোনয়ন লাভ করে সাংসদ নির্বাচিত হন। এমিলির কর্মতৎপরতায় খুশি হয়ে ২০১৪ সালের নির্বাচনেও তাঁকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। সেবারও তিনি সাংসদ নির্বাচিত হন। তাঁর পাশাপাশি এবার মনোনয়ন পেতে মাঠে নেমেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি এরই মধ্যে তৃণমূলের নেতা–কর্মীদের মধ্যে একটি অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন। তিনি এলাকার অবহেলিত নেতা–কর্মীসহ দলীয় নেতা–কর্মীদের নিয়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় দান-অনুদান দিয়ে যাচ্ছেন। টঙ্গিবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জগলুল হাওলাদার ভুতুসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি বৃহৎ অংশ ও লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশ তাঁর সঙ্গে সরাসরি মাঠে রয়েছে। পাশাপাশি বর্তমান সাংসদও পুনরায় মনোনয়ন পেতে তাঁর প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিটি সভা-সমাবেশে তারা দুজনেই তুলে ধরছেন সরকারের উন্নয়ন সাফল্য।

এ ছাড়া এ আসন থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমানও দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। তিনিও প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সোহানা তাহমিনা। তিনি এক বছরের বেশি সময় ধরে তৃণমূলে কাজ করে যাচ্ছেন। অন্য সব মনোনয়নপ্রত্যাশীর চেয়ে মাঠে বেশি কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। সম্পূর্ণ নতুন মুখ হিসেবে কাজের দিক থেকে তৃণমূলে এগিয়ে আছেন তিনি। প্রতিদিন ছোট সভা ও উঠান বৈঠক করে চলেছেন।
এ ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিযোদ্ধা ঢালী মোয়াজ্জেম হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক, টঙ্গিবাড়ী উপজেলা পরিষদের দুবারের চেয়ারম্যান কাজী ওয়াহিদ ও লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ সিকদার মনোনয়ন পেতে মাঠে কাজ করছেন।
অন্যদিকে সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সিনহা এবারও এ আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন। জেলা বিএনপির সহসভাপতি আলী আজগর মল্লিক রিপনও এবার দলীয় মনোনয়ন চাইবেন।
এদিকে জাতীয় পার্টির জেলা সভাপতি কুতুবুদ্দিন আহম্মেদ মনোনয়নের জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন।

মৃণাল কান্তি দাস (আ.লীগ), এম ইদ্রিস আলী (আ.লীগ), আব্দুল হাই (বিএনপি)
মৃণাল কান্তি দাস (আ.লীগ), এম ইদ্রিস আলী (আ.লীগ), আব্দুল হাই (বিএনপি)



মুন্সিগঞ্জ-৩:

মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনটি সদর ও গজারিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত। সদর উপজেলায় ২টি পৌরসভা এবং ৯টি ইউনিয়ন আছে । এ উপজেলায় স্থায়ী ভোটকেন্দ্র ১০৬টি। মোট ভোট গ্রহণের কক্ষ ৫৬৯টি। এর মধ্যে স্থায়ী ৫৬৫টি ও অস্থায়ী ৩টি । মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৯০ হাজার ৭৫৪ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৫০ হাজার ৮৩৪ জন ও নারী ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৩৯ হাজার ৯২০ জন।
গজারিয়া উপজেলায় ৮টি ইউনিয়ন আছে। স্থায়ী ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪৬টি। ভোট গ্রহণের কক্ষ ২৪৫টি। এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ২৬ হাজার ৬৯৩ জন। পুরুষ ভোটার ৬৪ হাজার ৫৮২ জন এবং নারী ভোটার ৬২ হাজার ১১১ জন।

আসনটিতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মতো বড় দুই দলেই একাধিক ভালো প্রার্থী আছেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এ আসনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাংসদ নির্বাচিত হন। তিনি এবারও দল থেকে মনোনয়ন চাইবেন। মৃণাল কান্তি দাস এলাকায় অবস্থান করে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি, সামাজিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। তিনি ছাড়া এই আসনে এবার মনোনয়ন চাইবেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়–সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সাবেক সভাপতি এম ইদ্রিস আলী। তিনিও ব্যাপক প্রচার-প্রচারণায় চালিয়ে যাচ্ছেন নির্বাচনী এলাকায়। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন এবং জনসংযোগ চালাচ্ছেন। স্বচ্ছ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবেও তার সুখ্যাতি আছে।
এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন গজারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান রেফায়াত উল্লাহ খান তোতা। এ ছাড়া গত কয়েক দিন আগে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আনিস উজ-জামান সংবাদ সম্মেলন করে নিজেকে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী বলে দাবি করেছেন।
অন্যদিকে বিএনপি থেকে এবার এ আসনে মনোনয়ন চাইবেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এলজিইডি উপমন্ত্রী আব্দুল হাই, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামারুজ্জামান রতন ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলামের ছেলে প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম বাবুও। নির্বাচনী প্রচারণার মাঠে নেই তাঁরা। তবে নিয়মিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন আব্দুল হাই। এখানে আব্দুল হাইয়ের মনোনয়ন অনেকটা নিশ্চিত বলে দাবি করেছেন স্থানীয় নেতারা।

এ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাতেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক দিদার হোসেন মনোনয়ন চাইবেন।