ইউপি চেয়ারম্যান হত্যার সন্দেহভাজন খুনি 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত

বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের ফুলতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম রবিউল আলম (৩৫)। পুলিশের ভাষ্য, গ্রেপ্তারের পর রবিউল আলম জল্লা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও জল্লা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ হালদার নান্টুকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। তাঁর বিরুদ্ধে ৬টি হত্যা মামলা, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের অভিযোগে করা মামলাসহ ১০টি মামলা রয়েছে। তাঁর বাড়ি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার কুকরিরচর গ্রামে।

‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাঁদের বরিশাল পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পিস্তল, গুলি ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বরিশাল পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, গতকাল রাত আটটার দিকে কুকরিরচর গ্রামে অভিযান চালিয়ে রবিউল আলমকে গ্রেপ্তার করে উজিরপুর থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল ইউপির চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ হালদার নান্টুকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে রবিউল আলমের দেওয়া তথ্যমতো দিবাগত রাত তিনটার দিকে তাঁকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে যায় পুলিশ। উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের ফুলতলা নামক স্থানে পৌঁছালে রবিউল আলমের সহযোগীরা তাঁকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায় এবং পুলিশেকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ বাধে। একপর্যায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে রবিউল মারা যান।

পুলিশ সুপার বলেন, রবিউল পেশাদার ভাড়াটে খুনি ছিলেন। তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে চুক্তি ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। ইউপির চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ হালদার নান্টুকে হত্যার আগে রবিউল আলম তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, ‘আপনি কি চেয়ারম্যান?’ এ কথার উত্তর পাওয়ার পরে পরিচয় নিশ্চিত করে নান্টুকে গুলি করে হত্যা করেন রবিউল।