আনোয়ারায় চালককে মারধর, ট্রাফিক পুলিশ বক্সে হামলা

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কাভার্ড ভ্যানের এক চালককে মারধরের ঘটনায় ট্রাফিক পুলিশ বক্সে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ওই সময় উত্তেজিত চালক ও জনতা ট্রাফিক পুলিশের একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দিলে পটিয়া-আনোয়ারা-বাঁশখালী সড়কে দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। বুধবার বেলা ১১টায় উপজেলার চাতরী চৌমুহনী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বুধবার বেলা ১১টার সময় পিএবি (পটিয়া-আনোয়ারা-বাঁশখালী) সড়কের চাতরী চৌমুহনী বাজারের ওপর দিকে চট্টগ্রাম শহরের দিকে একটি কাভার্ড ভ্যান (ঢাকা মেট্রো-ট ২২-৪৯৩৯) যাওয়ার সময় ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (এসআই) মো. আনোয়ার গাড়ির চালককে সংকেত দেন এবং গাড়ি থেকে নামতে বলেন। গাড়ির চালক মোহাম্মদ রুবেল গাড়ি থেকে নামার পর তাঁকে পুলিশ বক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর কাগজপত্র তল্লাশিকালে তাঁর সঙ্গে পুলিশের তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে রুবেলকে চড়থাপ্পড় মারতে থাকেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্য ও সোর্স।
চালকের ওপর মারধর চলাকালে ওই চালকের সহকারী কাভার্ড ভ্যানটি সড়কের ওপর আড়াআড়ি করে রাখলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। ওই সময় বিভিন্ন গাড়ির চালক ও স্থানীয় লোকজন বিক্ষোভ করেন এবং ট্রাফিক পুলিশের বক্সে হামলা চালান। এ সময় পুলিশের একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। চাতরী-চৌমুহনী বাজারের চারপাশে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়লে শত শত যান আটকা পড়ে। খবর পেয়ে আনোয়ারার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরে চট্টগ্রাম শহর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ আনা হলে দুই ঘণ্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। জনতা এগিয়ে এসে কাভার্ড ভ্যানের চালক মোহাম্মদ রুবেলকে উদ্ধার করে আনোয়ারা হাসপাতালে পাঠান।
চালকদের অভিযোগ, অনেক দিন ধরে আনোয়ারার চাতরী ও কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জারটেক এলাকায় ট্রাফিক বক্স স্থাপন করে কাগজপত্র তল্লাশির নামে চালকদের হয়রানি ও চাঁদা আদায় করা হচ্ছিল। শুধু তা-ই নয়, টোকেন দিয়ে মাসোহারা নেওয়ার অভিযোগও ওঠে ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে ট্রাফিক পুলিশের এসআই মো. আনোয়ার বলেন, ‘আমাদের এক সোর্স গাড়ির চালককে চড়থাপ্পড় দিলে সংঘাত শুরু হয়। পরে সেখানে স্থানীয় লোকজন ও অন্যান্য চালক আমাদের বক্সে হামলা শুরু করলে আমরা নিরাপদে সরে পড়ি।’ চাঁদা চাওয়ার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা টাকা পয়সা চাইনি।’
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন, পুলিশ বক্সে ভাঙচুর ও মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়ার ঘটনায় তদন্ত চলছে। জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
এ ব্যাপারে জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মীর নজরুল ইসলাম বলেন, সোর্সের কারণে ঘটনাটা ঘটল, এতে পুলিশের ভূমিকা ছিল না।