৬৫ থেকে ৭০টি আসন শরিকদের মধ্যে ভাগাভাগির লক্ষ্য নিয়ে এগোনো হচ্ছে: কাদের

ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ৬৫ থেকে ৭০টি আসন শরিকদের মধ্যে ভাগাভাগি হবে। এ লক্ষ্য নিয়ে এগোনো হচ্ছে। এটা কমতেও পারে, আবার বাড়তেও পারে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর কার্যালয়ে দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, শরিকদের আসন দেওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে জয়ী হওয়ার মতো প্রার্থীর ওপর। শরিকেরা কতজন জয়ী হওয়ার মতো প্রার্থীদের চান, চাইলে তো হবে না। আবার আওয়ামী লীগের সবাই মনোনয়ন পাবেন না। আওয়ামী লীগেরও যাঁরা জয়ী হওয়ার মতো, তাঁরা মনোনয়ন পাবেন।

এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন,‘ প্রতিপক্ষ যদি বড় ধরনের জোটে যায়, তাহলে তো স্বাভাবিক কারণে আমরাও যাব। অনেকই আমাদের সঙ্গে জোট করতে চায়। আজ ৩৯–দলীয় একটি জোট এসেছিল, তারা নির্বাচনে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে চায়। তাদের মধ্যে নিবন্ধিত দুটি দলও ছিল, কিন্তু তাদের কোনো প্রার্থীর লিস্ট ছিল না। তিনি আরও বলেন, যুক্তফ্রন্ট আমাদের জোটে আসবে এটাতে কোনো সন্দেহ নেই। যুক্তফ্রন্ট এখনো আমাদের কাছে আসন তালিকা পাঠায়নি, তালিকা পাঠানো হলে আমরা তাদের সঙ্গে বসব।’

ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের দ্বিতীয় সভা আজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই দুটি সভায় নির্বাচনের মনোনয়নসংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আওয়ামী লীগের কাছে দেশি–বিদেশি পাঁচ থেকে ছয়টি জরিপ প্রতিবেদন আছে, এ প্রতিবেদনগুলো দেখা হবে। এখনো আমরা আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন পর্ব শুরু করিনি। তিনি বলেন, ‘দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়নে যেন জনমতের প্রতিফলন হয়, সে জন্য বোর্ডের সব সদস্য রিপোর্টগুলো স্টাডি করছি। আগামীকাল অনানুষ্ঠানিকভাবে রিপোর্ট পর্যালোচনা হতে পারে। আমরা আশা করছি, দু-এক দিন পরে আনুষ্ঠানিক আলোচনা করে মনোনয়ন চূড়ান্ত করব।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এ কে এম এনামুল হক শামীম, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।