দুই দলে মনোনয়ন চান ১৬ জন

আলী আজম মুকুল ও হাফিজ ইব্রাহিম
আলী আজম মুকুল ও হাফিজ ইব্রাহিম

ভোলা-২ আসনে (বোরহানউদ্দিন-দৌলতখান) আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন ১১ জন। বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইছেন পাঁচজন। দলীয় সূত্রে জানা যায়, বিএনপির একজন প্রার্থী দৌড়ে এগিয়ে আছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ থেকে কে দলীয় মনোনয়ন পাচ্ছেন, তা কেউ বলতে পারছে না।

ভোলার নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, এ আসনে ভোটার ২ লাখ ৯৭ হাজার ৫১ জন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৫৩ হাজার।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের নির্বাচনী এলাকা ভোলা-২ আসন ছিল। ১৯৮৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তোফায়েল আহমেদ এ আসন থেকে নির্বাচন করেন। ২০১৪ সালে তাঁর ভাতিজা আলী আজম মুকুলকে আসনটি ছেড়ে দেন। বর্তমানে আলী আজম এ আসনের সাংসদ।

১৯৯১ সালে তোফায়েল আহমেদ দুটি আসনে জিতে ভোলা-২ আসন ছেড়ে দেন। ওই উপনির্বাচনে বিজয়ী হন বিএনপির সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মরহুম মোশাররফ হোসেন শাহজাহান। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী নিজাম উদ্দিন আহাম্মেদ নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে তোফায়েল আহমেদকে হারিয়ে সাংসদ হন হাফিজ ইব্রাহিম। ২০০৮ সালে পুনরায় নির্বাচিত হন বর্তমান বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল।

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বলেন, দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছেন সাংসদ আলী আজম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক সাংসদ ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মাহবুবুর রহমান, ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আযাদ হাওলাদার, তৎকালীন বিজেপির (বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি) ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক নাজিউর রহমানের ছেলে আশিকুর রহমানসহ ১১ জন।

আলী আজম মুকুল বলেন, ১১ জন দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেছেন মনোনয়ন পাওয়ার আশায়। তবে তাঁর আশা, প্রধানমন্ত্রী তাঁকে মনোনয়নপত্র দেবেন। কারণ, তিনি তৃণমূল থেকে রাজনীতি করছেন। নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরে তাঁর যাতায়াত রয়েছে।

আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী আবুল কালাম বলেন, ‘বোরহানউদ্দিনে আমার জন্মস্থান। নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ ভালো।’

বিএনপি থেকে দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেছেন সাবেক সাংসদ হাফিজ ইব্রাহীম ও তাঁর ছেলে মারুফ ইব্রাহীম, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের উপদেষ্টা রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা শহিদুল্লাহ তালুকদার, প্রবাসী জাহাঙ্গীর এম আলম, ডক্টর অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি সিরাজুল ইসলাম।

দলীয় সূত্র জানায়, একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক সাংসদ হাফিজ ইব্রাহিম। কিন্তু হাফিজ ইব্রাহীম ও তাঁর স্ত্রী মাফরুজা সুলতানার বিরুদ্ধে ১৯টি মামলা করে দুদক। দুদকের এক মামলায় তাঁর ১০ বছর ও স্ত্রীর ৩ বছরের কারাদণ্ড হওয়াসহ নানা কারণে খানিকটা কোণঠাসা অবস্থায় আছেন। তবে রাজনীতির মাঠে তিনি সক্রিয়। একাধিক মামলা থাকায় তিনি যদি নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন, তবে তাঁর ছেলে মাঠে নামবেন।

হাফিজ ইব্রাহীম বলেন, তাঁর নির্বাচন করতে আইনি কোনো বাধা নেই। তবে কার কী রকম জনপ্রিয়তা, কার কেমন অবস্থা, এর সব তথ্য দলের কাছে আছে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের কাছে আছে।

জাতীয় পার্টির (এরশাদ) মনোনয়ন ফরম কিনেছেন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি কেফায়েত উল্লাহ নজিব, জাতীয় যুব সংহতির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী ওবায়েদ বিন মোস্তফা।