খালেদা জিয়াসহ ১৫ জন

খালেদা জিয়া,কাজী রফিকুল ইসলাম,জিয়াউল হক মোল্লা,জি এম সিরাজ,মীর শাহে আলম
খালেদা জিয়া,কাজী রফিকুল ইসলাম,জিয়াউল হক মোল্লা,জি এম সিরাজ,মীর শাহে আলম

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বগুড়া-৬ ও ৭ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। অন্য চারটি আসনে জি এম সিরাজ ও জিয়াউল হক মোল্লাসহ আটজনকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

বগুড়া-১ (সোনাতলা ও সারিয়াকান্দি) আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে জেলা বিএনপির উপদেষ্টা মোহাম্মদ শোকরানা এবং সাবেক সাংসদ কাজী রফিকুল ইসলামকে।

এই আসনে ১৯৯১ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত চার দফা নির্বাচনে জয় পেয়েছে বিএনপি। ১৯৯৬ সালে সাংসদ ছিলেন বিএনপির হাবিবুর রহমান, ২০০১ সালে কাজী রফিকুল ইসলাম সাংসদ হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে মোহাম্মদ শোকরানা পরাজিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল মান্নানের কাছে।

বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ উপজেলা) আসনে এবার মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতা ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে। এখানে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর শাহে আলম এবং যুগ্ম সম্পাদক এম আর ইসলামকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

২০০৮ সালে এখানে সাংসদ নির্বাচিত হন বিএনপির এ কে এম হাফিজুর রহমান। নির্বাচনে হাফিজুর ধানের শীষ প্রতীকে ভোট পান ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৫৯টি। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী নেতৃত্বাধীন জোটের শরিফুল ইসলাম (জাতীয় পার্টি)। তিনি পান ৮৮ হাজার ৯৭৭ ভোট। ২০০১ সালে বিএনপির মো. রেজাউল বারী ১ লাখ ১৬ হাজার ৮০৬ ভোট পেয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগের হয়ে মাহমুদুর রহমান মান্না পেয়েছিলেন ৪৭ হাজার ৮১৯ ভোট।

বগুড়া-৩ (দুপচাঁচিয়া ও আদমদীঘি) আসনে এবার দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় অভিযুক্ত দলের সাবেক সাংসদ আবদুল মোমিন তালুকদার। তিনি পলাতক রয়েছেন। এ কারণে তাঁর স্ত্রী মাসুমা মোমিনকেও এখানে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসনে বিএনপির মনোনয়নের চিঠি পেয়েছেন জিয়া শিশু–কিশোর সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মোশারফ হোসেন এবং সাবেক সাংসদ জিয়াউল হক মোল্লা।

১৯৯১ সালে এই আসনে বিএনপির সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন দলের প্রয়াত যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক মোল্লা। এরপর ১৯৯৪ সালের উপনির্বাচনে প্রয়াত সাংসদের ছেলে জিয়াউল হক মোল্লাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। উপনির্বাচন ছাড়াও ১৯৯৬, ২০০১ সালের নির্বাচনসহ মোট চারটি নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নে সাংসদ হন তিনি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তাঁকে বাদ দিয়ে মোস্তফা আলীকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। জাসদ প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিমকে হারিয়ে মোস্তফা আলী সাংসদ হন।

বগুড়া-৫ (শেরপুর ও ধুনট) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন চারবারের সাবেক সাংসদ জি এম সিরাজ ও শেরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি জানে আলম খোকা।

বগুড়া-৬ (সদর উপজেলা ও পৌরসভা) আসনে খালেদা জিয়াকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তিনি কারাগারে থাকায় তাঁর পক্ষ থেকে জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলামের হাতে দলীয় মনোনয়ন তুলে দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কোনো কারণে খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে না পারলে বিকল্প হিসেবে পৌরসভার মেয়র এ কে এম মাহবুবর রহমান ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম বাদশাকেও মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়েছে।

বগুড়া-৭ (গাবতলী ও শাজাহানপুর) আসনে ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত টানা পাঁচ দফা সাংসদ নির্বাচিত হন খালেদা জিয়া। এবারও তাঁকে এ আসনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তাঁর পক্ষে উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু এ মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন।

২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২ লাখ ৩২ হাজার ৭৬১ ভোট পেয়েছিলেন খালেদা জিয়া। তাঁর নিকটতম মহাজোটের (জাতীয় পার্টি) প্রার্থী মোহাম্মদ আলতাফ আলী লাঙ্গল প্রতীকে ভোট পান ৯২ হাজার ৮৩৩।

২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করায় জেলার সাতটি আসনের চারটি জাতীয় পার্টির, দুটি আওয়ামী লীগের এবং একটি জাসদের দখলে রয়েছে।

এ আসনে বিকল্প হিসেবে রাখা হয়েছে গাবতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদ মিলটন এবং গাবতলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিনুর ইসলাম তালুকদারকে।